অমিত শাহ বনাম শত্রুঘ্ন সিনহা! ছবিটি বাবুল সুপ্রিয়র এক্স পোস্ট থেকে নেওয়া
অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: আসন্ন লোকসভা ভোটে বাংলার চার আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। ডায়মন্ড হারবার, ঝাড়গ্রাম, আসানসোল এবং বীরভূমে এখনও পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি রয়েছে। এই আবহে আসানসোল কেন্দ্রকে সামনে রেখে চর্চায় নতুন ইন্ধন জোগালেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
তবে সূত্রের খবর, এই আসনগুলিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করা হলেও কোথায় কাকে টিকিট দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির! এক্স হ্যান্ডলে বাবুল লেখেন, বেশ কিছু কারণে তাঁর মনে হচ্ছে, আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কারণ হিসেবে বাবুল নিজের পোস্টে লেখেন,”আমার মতো আরেকজন বিদ্রোহী শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোল এবং অন্য বিদ্রোহী কীর্তি আজাদ বর্ধমান- দুর্গাপুর আসন থেকে লড়ছেন। যাঁর আত্মসম্মান আছে এবং নিজের পক্ষে কথা বলার সাহস আছে, তিনি বিজেপিতে টিকে থাকতে পারবেন না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই আসনটি তুলে দিতে এখানে স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লড়তে পারেন।”
বাবুল আরও লেখেন, বাংলার ৪২ আসনে বিজেপির টার্গেট ছিল ৩৫ আসনে জয়। সেটাকে বদলে প্রধানমন্ত্রী ৪২-এ ৪২ করেছেন। তা ছাড়া গুজরাত থেকে মোদী যদি বারাণসীতে লড়তে পারেন, তাহলে অমিত শাহ আসানসোলে প্রার্থী হলে, সেটা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়।
বলে রাখা ভালো, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে পদ্মপ্রতীকে জয়ী হয়ে সংসদে যান গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রের মন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। বাবুল তৃণমূলে যোগ দিলে ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। সেবার বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা প্রায় তিন লক্ষ ভোটে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালকে হারিয়ে দেন। এ বারেও শত্রুঘ্নকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
বিজেপির স্থানীয় নেতাদের কথায়, আসানসোল কেন্দ্রটি দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই কেন্দ্রে এমন একজনকে প্রার্থী করা হবে, যিনি রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো যাতে ফল করতে পারেন। খুব শীঘ্রই বাংলার বাকি চারটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে বিজেপি। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্ব আসানসোল কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করেন!
Be First to Comment