Press "Enter" to skip to content

ইয়ং ফর্টিস: চল্লিশোর্ধ্ব ক্রিকেটারদের নিয়ে জেসিটি-র তিনদিন ব্যাপী টুর্নামেন্ট জলপাইগুড়িতে

ময়দানে চল্লিশোর্ধ্ব ক্রিকেটাররা। ছবি: অনির্বাণ দেব ও প্রতিবেদক

অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: ব্যাট অথবা বল হাতে শেষ কবে মাঠ নেমেছেন মনে করতে পারছেন না প্রায় কেউই। এক দশক বা ব্যবধান তারও বেশি। শহরে ক্রিকেট জগৎ থেকে অবসর নেওয়া ক্রিকেটারদের নিয়েই প্রতিযোগিতার আয়োজন। শুক্রবার শহরের মিলন সংঘ ময়দানে অবসর নেওয়া চল্লিশোর্ধ্ব ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনদিন ব্যাপী ‘ইয়ং ফর্টিস’ নামে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করল জলপাইগুড়ি কোকোনাট কর্নার (জেসিটি)।

উৎসাহে খামতি নেই। খেলাটা মিশে আছে রক্তে। দীর্ঘদিন বাদে হাতছানি দিয়ে ডাকছে সবুজ মাঠ আর ধূসর পিচ। সাতসকালেই মিলন সংঘ ময়দানে হাজির অবসর নেওয়া ক্রিকেটাররা। জানা গিয়েছে, ‘ইয়ং ফর্টিস’ টুর্নামেন্টের জন্য মোট ছয়টি টিম গড়েছেন প্রবীণ ক্রিকেটাররা। তিনদিনের প্রতিযোগতায় গ্রুপ পর্যায়ের খেলা হবে ১২ ওভারের। রবিবার ফাইনাল ১৬ ওভারের।

এ দিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে ছিলেন শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পিংকু বিশ্বাস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অম্লান মুন্সি, মিলন সংঘের সভাপতি রমেন সেন, সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র, দিশারী ক্লাবের সম্পাদক অমিত পাল প্রমুখ। জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত আম্পায়াররা এই প্রতিযোগিতার খেলাগুলো পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এ দিন খেলা শুরুর আগে মার্চ পাস্টে শামিল হন সকলে।

রাজনীতিতে আসার আগে জেলাস্তরে ফুটবল খেলতেন কাউন্সিলার অম্লান মুন্সি। ভলিবলও খেলেছেন। আজও যেখানেই ভালো খেলা দেখার সুযোগ থাকে, ছুটে যান তিনি। অম্লান বলেন,” খেলা আর সংস্কৃতির শহর হিসেবে জলপাইগুড়ির সুনাম রয়েছে। খেলার প্রতি আগ্রহটা আবারও ধীরে ধীরে ফিরে আসছে শহরে। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সকলের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিলেন।”

কাজের ফাঁকে খেলার ফুরসত কই? কাজ সেরে সন্ধ্যায় কখনও একটু আড্ডা। জলপাইগুড়ি কোকোনাট কর্নার নামের আড্ডায় থাকেন শহরের একসময়ের ক্রিকেটার সহ অন্যান্য ক্রীড়াবিদরা। এই সংগঠনের তরফেই আয়োজন করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতার।

(বাঁ দিকে) গোপাল কংসবণিক ও (ডান দিকে) অম্লান মুন্সি

আয়োজকদের তরফে গোপাল কংসবণিক বলেন,” সকলেই বর্তমানে নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু আমাদের জীবন থেকে ক্রিকেট মুছে যায়নি। সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।” তাঁর আরও সংযোজন, ফাইনালের শেষে প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই পুরস্কৃত করা হবে। এর পাশাপাশি ফুটবল,ভলিবল সহ বিভিন্ন ক্রীড়ার অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দেরও সংবর্ধনা দেওয়া হবে।” প্রথমদিনের খেলায় ক্রীড়াপ্রেমীদের ভালো ভিড় লক্ষ্য করা গেল।

More from খেলাMore posts in খেলা »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *