Press "Enter" to skip to content

শঙ্খ ঘোষ নেই, তাঁর ধুম লেগেছে হৃৎকমলে/২

শঙ্খ ঘোষ। সংগৃহীত ছবি

[১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম অংশ। আজ বাকিটা]

তাপস রায়

কল্যাণবোধ ও নৈতিকতার যে অংশটিকে রবীন্দ্রনাথ surplus of man বলেছেন… সেই আকুলতা বা অন্তরের এথিকস-এ একজন কবির জাগ্রত চেতনায় বিবেকের আধ্যাত্মিকতা অপরিহার্য হয়ে আসে। এই প্রেক্ষিতেই হৃদয় জ্বলে ওঠে। মানবতাকে posture দিয়ে নয়, সর্ব আত্মিকতায় এক বিপন্ন বিস্ময়ে নিজেকে সম্পর্কিত করেন কবি শঙ্খ ঘোষ। বলেন, “ কাল রাত্রিবেলার বিশ্বাসের কথা ভাবি/ ভাবি এই-বা কী কম, এই যে বর্শার ফলক নিয়ে বেঁচে থাকা।” ( ফলক, ধুম লেগেছে হৃৎকমলে)। এবং দ্বিধার অনিবার্যে তিনি আরও সপ্রশ্ন হলেন, “ সবই ঠিক। কিন্তু ঘর? সে কি বেঁচে আছে? আজও?” ( মর্মর, ধুম লেগেছে হৃৎকমলে)।

 চৈতন্যের এই আধ্যাত্মিকতাকে বহন করেই শঙ্খ ঘোষের কবিতায় এক একটি বীজক তৈরি হতে থাকে। অথবা কবি নিজেই নিজেকে এই চৈতন্যের দহনে পীড়িত করতে করতে কবিতার মুখোমুখি হন। এই পীড়িত আত্মাই হয়ত তাঁকে দিয়ে বলিয়ে নেয়, “ কোনো যে মানে নেই সেটাই মানে/ অন্ধ চোখ থেকে বধির কানে / ছোটে যে বিদ্যুৎ সেটাই মানে।”

 চৈতন্যের এই উৎক্রান্তিকে পাঠক আরো সহজে পেয়ে যান স্মৃতিকথার মতো করে লেখা ‘ বটপাকুড়ের ফেনা’-য়। “ বিরাটের মধ্যে নিজের অস্তিত্বের তুচ্ছতাকে অনুভব করে কেউ ভাবতে পারে যে তার জীবনটার কোনো মানেই নেই। আবার উল্টো দিকে, সেই বিরাটের মধ্যে নিজেকে যুক্ত করে নিয়ে কেউ ভাবতে পারেন তিনি পেয়ে গেছেন তার সম্পূর্ণ মানে। কিন্তু এই দুটো অবস্থানই দৈনন্দিন থেকে মনকে সরিয়ে নিতে পারে, বিযুক্ত করে নিতে পারে জীবনপ্রবাহ থেকে। মানে না থাকাটাই যে জীবনের একটা মানে হতে পারে, সেইটে একবার মেনে নিতে পারলে হয়তো অস্তিত্বের মধ্যে জোর পাওয়া যায় অনেক বেশি।”

            আত্মায় সঞ্চারিত এই জোর থেকেই ‘বাঁচা’ কবিতাটি মুক্তি পেল হয়তো ঃ

                        “ দুনিয়ার যদি কিছু লাভ হতো আমি না থাকলে

                        আমার না-থাকা সহজই হতো …

                        কিন্তু সেটা কি হবে বলে তুমি ভাবো?

                        কিছু জঞ্জাল জমে আছে আজও মাথার ভিতরে

                        রক্তবীজের বংশধরেরা

                        বেড়ে চলে অকাতরে।

                        ভেবেছ কি তাতে ভারি আসে যায় কারও?

                        বহু দেখেঠেকে শিখেছি বাপুরে

                        মোটের উপরে বেঁচে থাকাটাই ভালো।

                                                                        ( বাঁচা, ধুম লেগেছে হৃৎকমলে)।

 এই গ্রন্থের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে ‘ধুম তাতা তাতা থৈ’। এ কি শিবের নৃত্যের অনুষঙ্গ! সময় প্রবাহে শাশ্বত চৈতন্যের অপরাভবকে নিয়ে হেঁটে যাবার কর্মময়তা! নির্যাতিত প্রেমের অন্ধকার থেকে কান্ট কথিত Metaphysic of moral এর উদবোধন! নাহলে কীভাবে প্রত্যক্ষত মাত্রাবৃত্তে উঠে আসে … “ অন্ধ আমি দেখতে পাই না, আমিই তবু রাজ্যশিরে / এবং লোকে বলে এদেশ যে তিমিরে সেই তিমিরে”। ( অন্ধবিলাপ, ধুম লেগেছে হৃৎকমলে)। এ কবিতার বহিরঙ্গে ধ্বনির শাসন থাকলেও , সমস্ত নৈরাজ্যের, রাষ্ট্রীয় অন্ধতার প্রকাশে উদাসীনতার প্রতিরোধ দিতে চাইলেন যেন। নির্মানে গ্রাহ্যতার দিকে ঝুঁকে শঙ্খ ঘোষ যথেষ্ঠ সরল । সময়ের রিক্ততার ছবি, তার সম্পর্ক, আর কবির দহন বৃত্তান্তের এই ‘অন্ধবিলাপ’ আমরা আগেও পেয়েছি তাঁর ‘প্রহর জোড়া ত্রিতাল’ গ্রন্থে। সেখানেও এরকম এক অসহায়তার কথা… “ শরীর থেকে শীতের বাকল শহর গেছে খুলে/ মাথার উপর ছড়িয়ে গেছে হাঁস…/ ঠিক তখনই সৌর ধুলোর অন্ধ, বলেছিলাম/ এই গোধুলি অনন্ত সন্ন্যাস।”

এই বিপন্নতা কি একজন কবির অনিবার্য ভবিতব্য? সময়ের অসহনীয়তাকে মানিয়ে না নিতে পেরে ক্রমে নিজেকে বিচ্ছিন্ন, নিরুদ্দিষ্ট করার ট্রাজিক পরিধি? এই দ্বন্দ্বদীর্ণ কবিসত্ত্বার উন্মোচনে রবীন্দ্র অনুধ্যায়ী শঙ্খ ঘোষ হরপ্রসাদ মিত্রের চিঠির অনুষঙ্গে এভাবে বলতে চেয়েছিলেন, “ যে Super consciousness-এর কথা উনি তুলেছিলেন, তাকে কি অস্বীকার করি আমি? চিঠিতে হয়তো রবীন্দ্রনাথের একটা মন্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলাম ওঁকে। অমিয় চক্রবর্তীর কাছে লেখা চিঠিতে  যে মন্তব্য জুড়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ, সেইটের কথা। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেনঃ ‘ হয়তো একটা কোনো সত্তা আছে, যা এইখানেই, অথচ যা অদৃশ্য আলোকে অগোচর। তার বৃহৎ চেতনায় যা প্রকাশ পাচ্ছে সে আমি ভাবতেই পাচ্ছি নে … যে চেতনার আমি অন্তর্গত। এইখানে ভাবনাটাকে এগিয়ে নিতে এমন একটা ছেড়ে দেওয়া আছে, এমন একটা অসহায়তার সমর্পণ যে সেটাই আমাকে ওই কথাগুলোর দিকে বারে বারে টানে। ব্যপ্ত ভাবে, স্পষ্টতর ভাষায়, এসব প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ কথা বলেছেন অনেকবারই, কিন্তু সেসবের তুলনায় এই উচ্চারণ্টার মধ্যে একটা স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত ধাক্কা আছে, আছে অদৃশ্য অগোচরের সত্যিকারের প্রহেলিকা। এই বৃহৎ চেতনা … অন্য ভাষায় Super conscious   — যে চেতনার আমি অন্তর্গত … তাকে তো ভাবতেই হবে এই নদীজল-গাছ পাথর পাহাড় আকাশের সঙ্গে মিলিয়ে, যদি জীবনের পরিমণ্ডলে বিশ্বরহস্যের কথা এক লহমার জন্যও ভাবি।”

 হয়তো চৈতন্য আর পরাচোইতন্যকে সেভাবে আলাদা করে চিহ্নিত করার অভিমুখটিও আর তেমন গ্রাহ্য নোয়, যখন একটি কবিতা পাঠকের অনুভববেদ্যতায় হার্দ্য সংযোগ তৈরি করে ফেলে, যখন সময় আর সময়হীনতা মিলেমিশে যায়। যখন কবিতার অক্ষরপাতা রূপটিও আর ফ্রেমে থাকে নাঃ

            তোমার মৃত চোখের পাতা ভেঙে উঠে আসছে বাষ্পগহবর আর তাকে ঢেকে দিতে

                        চাইছে কোনো অদৃশ্য হাত যখন চারপাশে ফাটলে ফাটলে ভরে গিয়েছে

                        টলমল পাহাড়

            দৃষ্টিহারা কোটরের প্রগাঢ় কোলে ঝর্ঝর গড়িয়ে নামছে অবিরাম কত নুড়ি পাথর

                        আর আমরা হলুদ হতে থাকা শ্বেতকরোটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি

                        স্থির …

            যেন কুয়াশার ভিতর থেকে উঠে আসছে চাঁদ

            অথচ শনাক্ত করা যায় না আজও এত অভিসম্পাতের ভিতরে ভিতরে বিষাক্ত

                        লতাবীজের ঘন পরম্পরা কে তোমার মুখে তুলে দিয়েছিল সেদিন, ঝিমধরা

                        শীতরাত্রির অবসরে।

                                                                                    ( টল্‌মল্‌ পাহাড়, ধুম লেগেছে হৃৎ কমলে )

কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ‘সুন্দর’ কবিতাটিকে প্রসঙ্গে রেখে বলেছিলেন, “ কোনো কোনো কবিতার ক্ষেত্রে সূচনা-অন্তরা-সমাপ্তি … এই ত্রিনীতি একটি অনিবার্য সত্য।” আমাদের এই গ্রন্থটিও এই ত্রিনীতি লালিত হতে দৃশ্যমান। প্রথম পর্বটির নাম ‘ঘাসবিন্দু’।  নামকরণটিই উত্থাপিত করে অ-চমককে। অর্থাৎ কোনো স্মার্টনেস বা পোশাকের অভিজ্ঞানে ঢেকে দিতে চান না তাঁর কবিতা। কবিতাগুলির নামও অতি তুচ্ছ, চোখে না-পড়ার মতো। যেমন ‘ধুলো’, ‘মুখ’, ছবি’, ‘আলস্য’, ‘সাঁচী’ – ইত্যাদি। দ্বিতীয় পর্ব অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত চারিত, অন্তরা অংশটির নাম ‘বৃত্ত’। কবি কি কোনো রচিত বৃত্তের সমাপণের কথা ভেবেছেন! এর আগের দশটি কবিতার বইতে তিনি যে নিহিত পাতাল ছায়ার কথা বলেছেন তাই কি এখানে কোনো সমগ্রতায় উপনিত হল? এই পর্বের প্রথম কবিতা ‘শেকল বাঁধার গান’ ও শেষ কবিতা ‘ অন্ধবিলাপ’ অন্তত যে ফ্রেমটি রচনা করে তা এক জাগ্রত ক্রুদ্ধ চেতনার পরিপূরক হিসেবে উপস্থিত। শেষ পর্বটির নাম ‘সৈকত’। হয়ত এখানে শঙ্খ ঘোষ আসতে চেয়েছেন। কী বলেছেন এই কবিতাতে? এই কি প্রকৃত সন্ন্যাস?

            — আজ আর কোনো সময় নেই এই সমস্ত কথাই লিখে রাখতে হবে এই সমস্ত কথাই

                 যে  নিঃশব্দ সৈকতে রাত তিনটের বালির ঝড় চাঁদের দিকে ঊড়তে উড়তে

                হাহাকারের রুপোলি পরতে পরতে খুলে যেতে দেয় সব অবৈধতা আর সব

                হাড়পাঁজরের শাদাধুলো অবাধে ঘুরতে থাকে নক্ষত্রে নক্ষত্রে শুধু একবার

                একবারই ছুঁতে চায় বলে।

যেটা আগেই বলা গেছে ব্যষ্টি ও সমষ্টিকে মেলাতে মেলাতে তিনি কবি নিজেকে আবিষ্কার করতে থাকেন। তাঁর কবিতার আড়ালটি যে প্রপঞ্চকের কাজ করে তার ফলে মনে হতে পারে তাঁর কবিতা সরল, সমাহিত, স্নিগ্ধতার অনুকূল কোনো অলঙ্কার । আসলে প্রচ্ছদটি পেরোতে পারলেই দেখা যাবে কীভাবে তপ্ত হয়ে আছে তাঁর অন্তরাত্মা।

‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’-র ওই পঙ্‌ক্তিটিই যেন তাঁর ভাষামুখ হয়ে আসে । “ মাটি খুব শান্ত, শুধু খনির ভিতরে দাবদাহ”। আশ্চর্য সংযমে এই দাবদাহ পরিবেশন করেছেন শীলিত অ-তীব্রতায়, একরকম নির্লিপ্ত শান্তিতে। এভাবে মান্য করা যেতে পারে যে শঙ্খ ঘোষের হৃৎকমলে ধুম প্রথম থেকেই। কী এক অশান্তিতে তিনি আত্মনাট্যের আঙ্গিকে বিশ্বজীবন পরিবেশন করেন। সমস্ত হীনমানতার হয়ে তাঁকেই বলতে হয়, “ আর কত ছোট হব ঈশ্বর/ ভিড়ের ভেতর দাঁড়ালে/ আমি কি নিত্য  আমারও সমান/ সদরে, বাজারে, আড়ালে?”

আমরা শুরু করেছিলাম আরাল করার প্রবণতাটিকে সামনে রেখে। আড়ালে থাকার অন্তরঙ্গতা থেকেই ‘ঘাসবিন্দু’র কবিতা। এর’আলস্য’ কবিতাটিতে যেন নিজেকেই মেলে দিয়েছেন শঙ্খ ঘোষঃ

                        ওসব নিয়ে ভেবো না, ওর তো কোনো শেষ নেই,

                        তার চেয়ে বরং এইখানে এসে জানো, দেখো

দেখো কোনো কোনো ছোটো জিনিসকে বড়ো দেখালে

                        কেন মনে হয় এত অশালীন

                        আর দূরে মাটির ওপর ওরা দৌড়ে গেলে ভয়ে

                        তোমারও বুকে কেন জাগতে থাকে নরম ঝাঁপ

                        কেন আলস্যে দুচোখ এত ভার হয়ে এলেও

                        দেখতে ইচ্ছে হয় সব ঠিকমতো আছে।

এই কবিতাপাঠের সঙ্গে তাঁর একটি গদ্যাংশকেও সাজিয়ে দেয়া যেতে পারে যা কবির দর্শনের উচ্চারিত নিচয়ঃ

 লিখতে হবে নিঃশব্দে কবিতা, এবং নিঃশব্দ কবিতা। শব্দই জানে কেমন করে সে নিঃশব্দ পায়, ঐশ সূত্র না ছিঁড়েও। তার জন্য বিষম ঝাঁপ দেবার দরকার আছে দুঃসহ আড়াল থেকে। দুঃসহ, কেননা ইন্তরাল সহ্য করাই মানুষের পক্ষে সবার চেয়ে কঠিন। কবিকে তো আজ সবটাই খেয়ে ফেলছে মানুষ, তাই মানুষের এই শেষ দায়টা মেনে নিয়েও ঘুরছে সে, অন্তরাল ভেঙে দিয়ে এক শরীর দাঁড়াতে চাইছে অন্য শরীরের সামীপ্যে। তা যদি না হয়, তাহলেই সহ্য যায় পেরিয়ে — কিন্তু তবু সেই দুঃসহ আড়ালে বসে সে তৈরি রাখবে একটা দৈনন্দিনের মুখোশ; তাকে কেউ চিনবে না, আঙুল তুলে বলবে না, ‘ এ লোকটা কবি’, আর তার ভেতর থেকে গোপনে জন্ম নেবে নিঃশব্দ কবিতা।

 এই মানসিক গঠনে কখনও শঙ্খ ঘোষ সামাজিক সংকটকে সামনে রেখেছেন, কখনও বা অপ্রেমের বেদনা ভেতরে নিঃশব্দে সেই রেশমকীট তন্তু বয়ন করে চলেছে। তারপর যখন রেশমের মুক্তি তখন দেখা গেল তরঙ্গায়িত এক আলো , দৃপ্ত — যা সমস্ত অন্ধকার বুকে করেই বলবেঃ

                        চন্ডালকেই মুক্তি ভেবে খুঁচিয়ে দেব আগুন

                        ফুলকি দেখে দেখে বলব আলোর কথা

                        ভাবব ওই তো জয়ধ্বজা , শ্মশান, বড়ো ধুম লেগেছে হৃৎকমলে।

                                                                        ( হৃৎকমল, ধুম লেগেছে হৃৎকমলে)

 কবি শঙ্খ ঘোষ মুহূর্তের সজ্জা থেকে পরের মুহূর্ত, একটি স্মৃতি থেকে অন্য স্মৃতি ধরে ব্যষ্টি ও সমষ্টিকে নিয়ে চলতে চলতে একটা বৃত্তায়ণের এই পরিসরে শব্দের সখ্যতায় কোনো এক মুক্তি চেখে নিতে চেয়ে নিজেকে প্রতিটি অপ্রেমের বিরুদ্ধে আত্মমোচন করে, প্রতিটি দিনের পরে নতুন দিনে নিজেকে সঞ্চারিত করতে থাকেন। আর ভেজা বিকেলের পাশে ডানা মুড়ে বসে থাকা আলোকে দিয়ে যে নিবিড় আবহ তৈরি হয়, আমরা সামান্য পাঠক তার বাইরের মূর্চ্ছনায় মুগ্ধ হতে হতে ভেতরের দিকে উঁকি মারার সাহসে ওই পৌরুষ দেখে বিস্মিত ও হ্লাদিত হয়ে নিজেদের হৃৎকমলের দিকে তাকাবার প্রেরণা পাই, যেন ঐশী প্রেরণা। তাঁর শরীর, হ্যাঁ আজ আমাদের সামনে নেই। কিন্তু তাঁর কবিতায় আমরা রোজ রোজ নবীন আধ্যাত্মিকতায় স্নান সেরে নেব।

আগের অংশ পড়ুন এখানে: শঙ্খ ঘোষ নেই, তাঁর ধুম লেগেছে হৃৎকমলে

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *