শনিবার সকালে এক্স (আগের টুইটার)-এ “Trump Is Dead” হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করতে শুরু করে। ৫৬ হাজারেরও বেশি পোস্টে ছড়িয়ে পড়ে গুজব, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এর আগে তাঁর ডান হাতের চোটের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা আরও বাড়ে। তবে হোয়াইট হাউস দ্রুতই জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের কোনো উদ্বেগজনক বিষয় নেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোনো বড় বিপর্যয় ঘটলে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কি না। ভ্যান্স জানান, ট্রাম্পকে তিনি সুস্থ ও কর্মক্ষম দেখেছেন, তবে অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে বাদ দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, “গত ২০০ দিনে আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ঈশ্বর না করুন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, এই অভিজ্ঞতাই আমার বড় সম্পদ হবে।”
তবে ভ্যান্স স্পষ্ট করেন, ৭৯ বছরের ট্রাম্প এখনও চমৎকার ফিটনেস বজায় রেখেছেন এবং দারুণ এনার্জি নিয়ে সকাল-রাত কাজ করে চলেছেন। তিনিই মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট, আর ভ্যান্স ৪১ বছর বয়সে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ালেও আজ ভোর ৩:৪০ মিনিটে (ভারতীয় সময়) তিনি নিজেই ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করেছেন।
কয়েক দিন আগে ওভাল অফিস বৈঠকের সময় তাঁর ডান হাতে কালচে দাগ ও মেকআপ দেখা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও সেই দাগ নজরে আসে। জুলাই মাসে আবার পায়ে ফোলাভাব ধরা পড়ায় হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্প ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’-তে ভুগছেন, যা ৭০-এর বেশি বয়সিদের মধ্যে সাধারণ সমস্যা।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদিন অসংখ্য আমেরিকানের সঙ্গে দেখা করেন ও হাত মেলান। তাঁর উৎসর্গ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।”
এছাড়া প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক ডা. শন বারবাবেলা জানান, হাতে চোট আসলে তা ‘হাত মেলানোর ফলে হালকা টিস্যুতে চাপ’ ও নিয়মিত অ্যাসপিরিন খাওয়ার কারণে হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা নেই।
তবু সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের স্বাস্থ্যের নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে “Trump Is Dead” ট্রেন্ড সেই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।