আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বে কুনার প্রদেশে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১০। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। গভীর রাতে আঘাত হানা কম্পনে ধসে পড়েছে ঘরবাড়ি। প্রশাসনের আশঙ্কা, ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা রয়েছেন অনেকে। চলছে তৎপর উদ্ধারকাজ।
সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, জালালাবাদের কাছে এক গ্রামে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। নানগরহরে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ন’জন। আহত অন্তত ২৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। তবে আশপাশের গ্রামগুলিতে নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র শরাফাত জামান জানান, ‘‘হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। তবে দুর্গম এলাকায় পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে বলে সঠিক হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি।’’
পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাতেও কম্পনের প্রভাব পড়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের তথ্য প্রধান নাজিবুল্লাহ হানিফ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই শয়ে শয়ে আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রয়টার্সের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬১০ ছাড়িয়েছে এবং আহত অন্তত কয়েক হাজার। রবিবার মধ্যরাতে (ভারতীয় সময় রাত পৌনে ১টা) অনুভূত এই কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। এর পরেও একাধিক আফটারশক কাঁপিয়েছে আফগানিস্তানকে। কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের জম্মু-কাশ্মীর এবং দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলেও।
হিন্দুকুশ পর্বতাঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। কারণ এটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে একই মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল আফগানিস্তানে, যেখানে সরকারি হিসেবে মৃত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।