উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মর্মান্তিক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক নাবালক এবং এক যুবতীর। ঢোলাহাট থানার বাহিরচক এলাকায় এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে শনিবার রাতে।
মৃত নাবালকের নাম সমিত মণ্ডল, বাড়ি পাথরপ্রতিমার দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বয়সে এখনও আঠারো হয়নি। ঘরে রয়েছে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, সংসারের হাল ধরতে কাজ করছিল হোটেলে। অন্যদিকে মৃত যুবতী কোয়েল রায়, বাড়ি জলপাইগুড়ি, বয়স মাত্র কুড়ি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শনিবার রাত প্রায় দুটো নাগাদ সমিত ও কোয়েল মোটরসাইকেলে প্রচণ্ড গতিতে আসছিল লক্ষীকান্তপুর দিক থেকে, আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে গাছে। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা দু’জন কেই মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, লক্ষীকান্তপুর এলাকায় একটি হোটেল ও রেস্তোঁরায় কাজ করত সমিত, তার দিদি, এমনকি কোয়েলও। সংসারের অনটনে পড়েই সেখানে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল তারা। শনিবার রাত একটা নাগাদ সমিত, তার দিদি, কোয়েল এবং আরও এক যুবক দুটি মোটরসাইকেলে বের হয় অজানা উদ্দেশ্যে। কিন্তু সমিত ও কোয়েল ফিরল মৃতদেহ হয়ে।
তবে এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন, ভিন জেলার এত অল্পবয়সি ছেলে-মেয়েরা ওই হোটেলে কাজ করে কেন? রাতের অন্ধকারে এত দেরি করে তারা বাইরে বেরোল কেন? কারা পাঠিয়েছিল তাদের এই অজানা যাত্রায়?ঢোলাহাট থানার পুলিশ রবিবার মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।










