Home / খবর / জেলায় জেলায় / এ বার ডিজিটাল ঋণ! আর্থিক প্রতারণার শিকার জামুড়িয়ার বেসরকারি কারখানার কর্মী

এ বার ডিজিটাল ঋণ! আর্থিক প্রতারণার শিকার জামুড়িয়ার বেসরকারি কারখানার কর্মী

জামুড়িয়া ও আসানসোল: ডিজিটাল ঋণ। সেই ঋণের ফাঁদে পড়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়ার একটি বেসরকারি কারখানায় কর্মী জামুরিয়ার তপসি এলাকার বাসিন্দা অশ্বিনী কুমার সিং আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন।

গোটা বিষয়টি জানিয়ে তিনি আসানসোল সাইবার থানা ও রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এই বিষয়ে অশ্বিনী কুমার সিং সোমবার বলেন, “আমি জামুড়িয়ার একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করি। রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি ব্যাংকে আমার বেতন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গত ৬ নভেম্বর আমি জানতে পারি যে, রানিগঞ্জের যে বেসরকারি ব্যাংকে আমর বেতন অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখান থেকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোন দেখিয়ে ৬৩০০ টাকার ইএমআই কেটে নেওয়া হয়েছে”।

অশ্বিনী কুমার সিং বলেন, “আমি গত ১২ বছর ধরে জামুরিয়ার ঐ বেসরকারি কারখানায় কাজ করছি। তার দাবি তিনি কোনও ব্যক্তিগত ঋণ নেননি। তবুও তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৩০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর পরে আমি রানিগঞ্জে ওই ব্যাংকে গিয়ে আধিকারিকদের সাথে দেখা করি। তাদেরকে আমি আমার একাউন্ট থেকে ঋণের সুদ হিসেবে ইএমআই কেটে নেওয়ার বিষয়টি বলি। তখন ব্যাঙ্ক থেকে আমাকে বলা হয় যে মোবাইলের মাধ্যমে আমার অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত ঋণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরকে বলি যে আমি কোথাও কোনও ঋণ নিইনি। এ বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই। এই বিষয়ে আমি আসানসোল সাইবার থানায় একটি অনলাইন অভিযোগ দায়ের করেছি। এদিন আমি রানিগঞ্জের ব্যাংকেও অভিযোগ দায়ের করেছি”।

তিনি এও বলেছেন যে, “আমি কখনও কোনও ঋণ নিইনি। অথচ অবাক করার মতো বিষয় হল যে এইভাবে কিস্তি হিসেবে ৬৩০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে”।

স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। থানা ও ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগ তদন্ত ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *