বারাবনি : আসানসোলের বারাবানি বিধানসভার নুনি গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা সারাই, স্ট্রিট লাইট বা রাস্তার আলো এবং পানীয়জলের দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে রাস্তা অবরোধও করা হয়।
খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ এলাকায় আসে। নুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাধব তিওয়ারিরও সেখানে আসেন। তাকে ঘিরে এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে এলাকার বাসিন্দাদের তরফে তিনটি দাবির একটি স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
এদিন দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রতিবাদ করা নুনি গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এই এলাকার বিদ্যুৎ, জল এবং রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। যে কারণে এখানকার মানুষদেরকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই এলাকার রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রতিদিন ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যাতে কেউ প্রাণ হারাতে পারেন।
রাস্তার আলো সম্পর্কে লোকেরা বলেন যে, এখানে কোনও রাস্তার আলো নেই। যে কারণে রাতে মানুষকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে বৃদ্ধরা যারা রাতে মন্দির থেকে বাড়ি ফেরেন তারা অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তারা বলেন, এলাকায় পানীয়জলেরও সমস্যা রয়েছে। তিন থেকে চারদিনের ব্যবধানে জল আসে। তাও মাঝে মাঝে রাত একটার সময় জল দেওয়া হয়। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষ জল ভরতে পারেন না।এদিন এই সমস্ত বিষয় নিয়ে একটি বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর পাশাপাশি প্রধানকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দাবিগুলি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ বিক্ষোভ উঠে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেছেন, যদি এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে তারা আবার বৃহত্তর পরিসরে প্রতিবাদ করবেন। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান মাধব তিওয়ারি বলেন, রাস্তার অবস্থা খারাপ। কিন্তু পঞ্চায়েতের কাছে এই রাস্তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা নেই। তাই আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়ককে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করা যায় যে খুব শীঘ্রই কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। পানীয়জলের সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বা পিএইচইর ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা চলছে। এর সমাধানও দ্রুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রাস্তার আলো নিয়েও মানুষেরা অভিযোগ করেছেন। এর আগে পঞ্চায়েতে রাস্তার আলো লাগানোর জন্য খুঁটি বসাতে কর্মীরা এসেছিলেন। কিন্তু জমির মালিক আপত্তি তুলেছিলেন। তাই খুঁটি বসানো হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে, পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ বাউরির সাথে বসে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করা হবে।