Home / খবর / জেলায় জেলায় / আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবারের

আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবারের

আসানসোল: হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ চিকিৎসাধীন রোগী। রোগীকে খুঁজে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। একইসাথে, রোগী নিখোঁজের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন তাঁর পরিবারের লোকজনেরা।

জানা গেছে, রোগীর নাম সমর মুর্মু। তাঁর বাড়ি আসানসোলের জামুড়িয়া থানার চিঁচুড়িয়ায় ডাঙ্গালপাড়ায়। ঘটনাটি আসানসোল জেলা হাসপাতালের। এই বিষয়ে রোগীর পরিবারের তরফে গোটা বিষয়টি জানিয়ে আসানসোল দক্ষিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও আলাদা করে আসানসোল দক্ষিণ থানায় ওই রোগীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর শুক্রবার চিচুড়িয়া ডাঙালপাড়ার বাসিন্দা সমর মুর্মুকে তাঁর পরিবারের লোকজনেরা আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। তার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছিল। তার সঙ্গে ছিলেন রমেশ হেমব্রম নামে এক আত্মীয়। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার দুপুরে রমেশ খাবার খেতে হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন। ওইদিন বিকেলে বাড়ির লোকজনেরা সমরকে দেখতে জেলা হাসপাতালে আসেন। কিন্তু তারা সমরকে তার বেডে দেখতে পান নি। স্বাভাবিক ভাবেই তারা সেই সময় ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স ও চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু তারা রোগীর ব্যাপারে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলেই অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা । এরপরে রোগীর পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতালের আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তারা কোথাও সমরকে পাননি।

শেষ পর্যন্ত তারা সমরকে না পেয়ে সোমবার রাতে আসানসোল দক্ষিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

তবে জেলা হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে চিঁচুড়িয়ার বাসিন্দা তথা চিঁচুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ধনঞ্জয় গোপ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা ও নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্বেও কিভাবে রোগী নিখোঁজ হয়? তাকে খুঁজে বার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানান তিনি।

অন্য দিকে আদিবাসী যুব গোষ্টীর সভাপতি বাবু উজ্বল বলেন, ওই রোগীকে খুঁজে না দেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এই ঘটনার জন্য তিনি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।

অন্যদিকে, জেলা হাসপাতালের সুপার ডা. নিখিলচন্দ্র দাস এদিন বিকেলে বলেন, ওই রোগী “অ্যাবস্কন্ড ” হয়েছেন। জেলা হাসপাতালের তরফে নিয়ম মেনে ওই রোগীর বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *