অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: শহরের নামকরা এক উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে বিদায়ী উপ পুরপ্রধান তথা ‘ঘোষিত’ নয়া পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল, শুক্রবার সদর শহর ও সদর ব্লকে ‘শিক্ষা ধর্মঘটের’ ডাক দিল শিক্ষা বাঁচাও মঞ্চ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রতিবাদ সভা করে এই ধর্মঘটের ডাক দিলেন মঞ্চের সদস্যরা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ধর্মঘটের সমর্থনে চললো প্রচার।
আগামীকাল পুর প্রধান পদে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণ করার কথা। ওই দিনই স্কুল বন্ধের ডাক দিল শিক্ষা বাঁচাও মঞ্চ। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য আগেই অস্বীকার করেছেন পুরসভার বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্টে চাঞ্চল্য ছড়ায় সদর শহর ও জেলার রাজনীতি মহলে।
ঘটনাটি চলতি বছরের ৪ জানুয়ারির। সুনীতিবালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা৷ ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস কান ধরে ওঠবোস করছেন। আর সহ-প্রধান শিক্ষিকা অরুণিমা মৈত্র পা ধরে রয়েছেন পরিচালন সমিতির সভাপতি সৈকতের। বিরোধী দলনেতা এই ফুটেজ পোস্ট করতেই (সত্যতা যাচাই করেনি কোলফিল্ড টাইমস) চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহরের রাজনৈতিক মহলে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানায় নাগরিক সংসদ। ডিআই(মাধ্যমিক) দপ্তরে অভিযান করে বিক্ষোভ দেখায় অভয়া মঞ্চ। গত মঙ্গলবার প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে বিজেপিও। অতিরিক্ত পড়ুয়া ভর্তিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সৈকতের বিরুদ্ধে।
এর আগে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সৈকত বলেছিলেন, “”স্কুলে মিডডে মিলের অনিয়ম নিয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে সরব হয়েছিলাম। আরও কিছু অভিযোগ ছিল। অভয়ার মৃত্যু নিয়ে স্কুলের ভেতরেই বৈঠক করতে চাওয়ায় আমি নিষেধ করেছিলাম। ওই ফুটেজ এআই দিয়ে করা হয়েছে। আমি আইনি পদক্ষেপ করব।”
এ দিন কদমতলা মোড়ে আয়োজিত পথসভায় হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎ রায়, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রীতা সেনগুপ্ত, গণেশ ঘোষ-সহ মঞ্চের সদস্যরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৌসুমী বসু।

কৌশিক গোস্বামী, যুগ্ম আহ্বায়ক, শিক্ষা বাঁচাও মঞ্চ
মঞ্চের আরেক আহ্বায়ক তথা শিক্ষক কৌশিক গোস্বামী বলেন, “যে ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে তা নিন্দনীয়। আমাদের দাবি, ওই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তিবিধান। শুক্রবার শিক্ষা ধর্মঘটের পাশাপাশি ডিআই (মাধ্যমিক) দপ্তরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। সদর মহকুমা শাসক ও জেলাশাসকের দপ্তরে প্রতিনিধিত্বমূলক স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে।”










