আসানসোল : চার মাস কাজ করার পরে মিলছে একমাসের বেতন। অথচ বলা হয়েছিল, চারমাস কাজ করার পরে তিনমাসের বেতন দেওয়া হবে।
এছাড়াও বলা হয়েছিল, প্রতি মাসে ২৬ দিন ডিউটি দেওয়া হবে। কিন্তু ২২ দিনের কাজ দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রতি মাসে বেতন ও মাসে ২৬ দিন ডিউটির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আসানসোল পুরনিগমে ১০৬ টি ওয়ার্ডের ২৭২ জন নির্মল সাথীর মহিলারা আসানসোল পুরনিগমের প্রধান বা মেন গেট আটকে, সামনে বসে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান।
পাপিয়া মাজি সহ নির্মল সাথীর মহিলারা বলেন, আমাদের ৪ মাস কাজ করতে বলা হয়, কিন্তু মাত্র ১ মাসের বেতন দেওয়া হয়। যা আমরা এখন আর মেনে নেবো না। তারা স্পষ্টভাবে বলেন, আমরা প্রতি মাসে কাজ করবো এবং প্রতি মাসে বেতন নেবো। তারা তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিও করেন। এছাড়াও আমাদেরকে মাসে ২৬ দিন ডিউটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। তার বদলে ২২ দিনের ডিউটি দেওয়া হচ্ছে।
তাঁরা এদিন বলেন, মেয়র আমাদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু তারপরেও কিছুই হয়নি। তাই এদিন আমরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।
এদিকে, এদিন আসানসোল পুরনিগমে ছিল পুর কাউন্সিলারদের বোর্ড বৈঠক। সেই বৈঠক শেষ হওয়ার পরে কাউন্সিলাররা পুর ভবনে আটকে পড়েন। পুরনিগমের গেট আটকে দেওয়ায় সাধারণ মানুষেরাও পুর ভবনে ঢুকতে পারেননি। তারা বাইরে থাকেন। পুরনিগমে সেই সময় কর্মরত নিরাপত্তা রক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে গেট খোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাতে বাধা দেন। স্বাভাবিক ভাবেই পুর ভবন চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন মেয়র পারিষদ, বোরো চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলার কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। খবর পেয়ে দুপুর নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ পুরনিগমে আসে।
এই বিষয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, তাদের বেতন হয় সরকারি টাকাতে। কোনও কারণে টাকা নাও আসতে পারে। যতক্ষণ না সুডা থেকে টাকা না আসে, ততক্ষণ তাদের টাকা দেওয়া যাবে না। আমি যতদূর জানি দুমাসের বেতনের টাকা এসেছে। তাদেরকে তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তারা তো আমার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। তারপরে এইভাবে গেট আটকে বিক্ষোভ দেখানো ঠিক নয়।
এরপর দুপুর তিনটে নাগাদ বিক্ষোভ উঠে যায়।