উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: রাজ্যের নির্বাচন প্রস্তুতি ঘিরে যখন তৎপর নির্বাচন কমিশন, ঠিক সেই সময়ই বারুইপুরে ঘটল এক অবাক করা ঘটনা। দু’বারের প্রিসাইডিং অফিসার এবং দু’বারের ফার্স্ট পোলিং অফিসার উৎপল সরদারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। শুধু তাই নয়, বাতিল হয়েছে তাঁর আধার কার্ডও। ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
উৎপল সরদার কলকাতা পৌরনিগমের উচ্চপদে কর্মরত। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ, নিজের ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড দুটোই বাতিল হয়ে যাওয়ায় তিনি কার্যত দিশেহারা।
১৯৯৫ সালেই প্রথম ভোটার কার্ড পান উৎপলবাবু। তারপর থেকে নিয়মিত ভোট দিয়ে এসেছেন তিনি। তবে কয়েক মাস আগে তাঁর স্ত্রী রেনু সরদারের নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়। অনলাইনে আবেদন করলেও তা বাতিল হয়। এবার নিজের নাম বাদ যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন উৎপলবাবু।
সম্প্রতি তিনি মোবাইলে পান আধার বাতিলের বার্তা। ব্যাঙ্ক থেকেও কেওয়াইসি লিংক সংক্রান্ত মেসেজ এসেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে— আধার ও ভোটার কার্ড না থাকলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কাজ কীভাবে চলবে? মাইনে পাওয়া ও তা তোলা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
রাজ্যে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতীর নেতৃত্বে যখন এসআইআর (State Intensive Revision) প্রস্তুতি পর্যালোচনা চলছে, ঠিক সেই সময় এক প্রাক্তন নির্বাচনী আধিকারিকের এই অভিজ্ঞতা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
উৎপলবাবু জানিয়েছেন, “আমি রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাই। তবে অনুরোধ করছি, আমার মতো বৈধ ভোটারদের নাম যেন ভুলবশত বাদ না দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করুক।”
এই ঘটনা নির্বাচনী প্রস্তুতির মাঝে প্রশাসনিক গাফিলতির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।