ছবি: বুবাই শীল
অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: একদিকে পরিবেশ দূষণ ও অন্যদিকে আবর্জনার গন্ধে টেকা দায়। জলপাইগুড়ি শহরের বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন থেকে গৌড়ীয় মঠের রাস্তার একাংশ পার হতে দুর্গন্ধে নরক যন্ত্রণার মধ্যে যাতায়াতকারীদের পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বুধবার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেন শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অম্লান মুন্সি-সহ ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও শহরের বিশিষ্টজনেরা। ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুরসভাও।
বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন থেকে গৌড়ীয় মঠের রাস্তায়, করলা সেতু পার করেই, বাম পাশের নীচু জমিতে শহরের একাংশের ময়লা আবর্জনা অস্থায়ী ভাবে ডাম্পিং করা হচ্ছে। পরে ওই ময়লা তিস্তাপারের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে আসা হয় পুরসভার তরফে। ওই অস্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে সবাই সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি। নাকে রুমাল, বা কাপড় চেপে ওই অংশ পার করতে হয় বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। উল্টোপাশেই করলা-অ্যালিতে প্রাত:ভ্রমণ বা অন্য কারণে ঘুরতে আসেন অনেকেই।
এ দিন ওই এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা হাতে প্লাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে সামিল হন। চিকিৎসক সুদীপন মিত্র-সহ অন্যরা তাদের বক্তব্যে জানান, ওই এলাকায় জনবসতি, স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে এখানে পরিযায়ী পাখিদেরও দেখা যায়। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কারণে সবাই সমস্যায় পড়ছেন। ব্যক্তিগত জমিতে এ ভাবে দীর্ঘসময় ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা যায় না বলেও অভিযোগ করেন একাংশ বক্তা। এ দিন তিন শিশুকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে, স্যালাইন দিয়ে প্রতীকী পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয় বলে জানান আয়োজকেরা।
পুর প্রতিনিধি অম্লান মুন্সি বলেন, “আমাদের ওয়ার্ডের সবাই ও শহরের বিশিষ্টজনেদের নিয়ে সভা করে এই কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। শহরের একাংশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জন্য। পরিস্থিতির বদল না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”
পুরসভার পুর প্রধান পাপিয়া পাল ও উপ-পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য স্বরূপ মণ্ডল বলেন, “ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। কারও সমস্যা থাকবে না।”