Home / খবর / জেলায় জেলায় / বিধানসভা ভোটের আগে বুথে সংগঠন মজবুত করতে উদ্যোগী জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস

বিধানসভা ভোটের আগে বুথে সংগঠন মজবুত করতে উদ্যোগী জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জেলার বুথগুলিতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ কংগ্রসের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতির। শাসক দলের অনেক বিধায়কের ভোটের আগে দেওয়া একাধিক প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। সেগুলো নিয়ে জনমানসে প্রচার চালাতে চান দলের জেলা নেতৃত্ব।

সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্তকে সরিয়ে অমিত ভট্টাচার্যকে জেলার দায়িত্ব দিয়েছে হাইকমান্ড। দায়িত্ব পেয়েই জেলার বুথ গুলিতে সংগঠনকে ‘আত্মনির্ভর’ করার পরিকল্পনা জেলা সভাপতির। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত বলেন, “দেশ ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে বিকল্প রাজনৈতিক ব্যবস্থা সময়ের দাবি। এরমধ্যেই আমরা বুথগুলিকে শক্তিশালী করে তুলব। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই জেলাতেও ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ কর্মসূচি হবে।”

বিকল্প রাজনৈতিক ব্যবস্থা অবশ্য কী হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি অমিত। তাঁর অভিযোগ, জেলার বিধায়কদের একাংশ গত ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার সিকিভাগও পূরণ হয়নি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ সব বিষয়ে জেলা পিছিয়ে পড়ছে। এই বিষয়গুলি আমজনতার সামনে তুলে ধরবে কংগ্রেস।

পাল্টা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “শিক্ষা,সড়ক স্বাস্থ্য পরিষেবায় আমার বিধানসভায় প্রচুর কাজ হয়েছে। তিনটি শিল্প তালুক ও সার্কিট বেঞ্চ হয়েছে। সদর বিধানসভা, মাল-সহ সবখানেই ভাল কাজ হয়েছে। শুধু বিরোধিতা করার জন্যই এ সব বলা হচ্ছে।”

এ দিন প্রদেশ সহ-সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, “জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে কংগ্রেস সর্বতো ভাবে সহযোগিতা করবে। কিন্তু প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে কোথায়?” প্রদেশ কমিটির সম্পাদক অম্লান মুন্সি বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা গুলিকে আমরা তুলে ধরব।” জেলার বেশ কিছু বুথে এজেন্ট দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই দল। এ প্রসঙ্গে পিনাকী বলেন, “আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বুথস্তরকে সক্রিয় করবে জেলা নেতৃত্ব।”

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *