Home / খবর / জেলায় জেলায় / আসানসোল পুরসভার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব গায়েব, পার্কিং নিয়ে জেলাশাসককে আইএনটিটিইউসি নেতার অভিযোগ

আসানসোল পুরসভার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব গায়েব, পার্কিং নিয়ে জেলাশাসককে আইএনটিটিইউসি নেতার অভিযোগ

আসানসোল পুরসভার নিয়ন্ত্রণে থাকা পার্কিং ফি সংক্রান্ত বকেয়া রাজস্ব নিয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন।

বকেয়া বা আদায় না হওয়া রাজস্বের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের এই নেতা লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তিনি এদিন সরাসরি অভিযোগ করে বলেছেন যে, পার্কিং জোনের দায়িত্বে থাকা ২০/২২ জন পুরসভাকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব দেয়নি।

রাজু আলুওয়ালিয়ার অভিযোগ, এই পার্কিং জোনের দায়িত্বে থাকা এই ব্যক্তিদের ২০২৪ সালে কালো তালিকাভুক্ত বা ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও, তাদের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা হয়নি এবং বকেয়া টাকাও আদায় করা হয়নি। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, এইসব ব্যক্তিরা এখনও মেয়র, চেয়ারম্যান এবং ডেপুটি মেয়রের চেম্বারে অবাধে যাতায়াত করেন।
রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত থাকার কারণেই এত বড় আর্থিক দুর্নীতিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি জানিয়েছেন।

এদিন বকেয়া রাজস্বের একটা তালিকা রাজু আলুওয়ালিয়া জেলাশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন। তাতে ব্ল্যাকলিস্ট হওয়া বেশ কিছু পার্কিং চালানো ব্যক্তিদের বকেয়া টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন রাজীব রায়। তার বকেয়ার পরিমাণ ২৮ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। এছাড়াও আকিল নওয়াজের ৩৭ লক্ষ ও ১০ লক্ষ, রবি ঘোষের ৬৭ লক্ষ, মামুন রশিদের ১০ লক্ষ, এস ট্রেডার্সের ২৫ লক্ষ, চন্দ্রশেখর শর্মার ১০ লক্ষ, অচিন্ত্য রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার এবং বেণেশ্বর রায়ের ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

এই প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের পার্কিং বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যদি প্রমাণ থাকে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়টি বোর্ড মিটিংয়েও আমি তুলেছিলাম।
ওয়াসিমুল হক এই পুরো দুর্নীতির গভীর পর্যন্ত যেতে তদন্তের জন্য জেলাশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, বাইরের অপারেট বা পুরনিগমের কর্মচারী যেই হোক না কেন, দোষ প্রমাণিত হলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *