কোলফিল্ড টাইমস: এক কলেজ অধ্যাপকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল স্ত্রী ও মেয়ের পচাগলা দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুরমাঠ এলাকায়। কীভাবে মা-মেয়ের মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
বুধবার রাত আটটা নাগাদ ঘটনাটি সামনে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরামবাগের একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন গৃহকর্তা স্বপন ভট্ট। প্রায় এক বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। তারপর থেকে বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী শিখা ভট্টাচার্য (৫৬) ও মেয়ে তৃষা ভট্টাচার্য (৩০)। যদিও দেড় বছর আগে তৃষার বিয়ে হয়েছিল, তবে তিনি মায়ের কাছেই থাকতেন।
গত ৬-৭ দিন ধরে মা ও মেয়েকে প্রতিবেশীরা আর দেখতে পাচ্ছিলেন না। বুধবার রাতে এক প্রতিবেশী নিমন্ত্রণ করতে এসে দরজায় বারবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেলে সন্দেহ জাগে। এ সময় পাশের গলি থেকে ভেসে আসা তীব্র দুর্গন্ধে আরও আতঙ্কিত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার করে দু’টি দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিকেলে। প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন শিখা ও তৃষা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।