উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : ভাঙড়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরতেই স্ত্রীকে ‘খুন’ স্বামীর।একাধিকবার সে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। পরপুরুষের টানে ঘরও ছেড়েছেন। সেখানেও মন টেকে না বধূর।শেষে ভাঙড়ের কালিকাপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। আর তারপরই তাঁকে খুন করা হয় বলেই অভিযোগ। মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।নিহত বছর একুশের মৌমিতা নস্কর। ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায় তাঁর বাপেরবাড়ি। বছর চারেক আগে ভাঙড়ের কালিকাপুরের বাসিন্দা দেবাশিস নস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।
অভিযোগ, বিয়ের মাত্র কয়েকদিন পর থেকেই দাম্পত্য সম্পর্কে ভাঙন ধরে। একের পর এক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে মৌমিতা জড়িয়ে পড়েন বলেই দাবি। পর পুরুষের টানে বাড়িও ছেড়ে ছিলেন। দিনকয়েক বেপাত্তা থাকার পর বাড়ি ফিরে আসতেন মৌমিতা। তারপর থেকেই দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছায়।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মৌমিতা এবং দেবাশিসের ঝগড়া ঝাটি চরমে পৌঁছয়।
অভিযোগ, দেবাশিস তার স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। মারতে মারতে ঘটকপুকুর খালপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই খানে তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাটে জন্য দেহ খালে ফেলে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ।প্রতিবেশীরা ঘটনাটি জানতে পারে।
ভাঙড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌঁছায়।দেবাশিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বধূর দেহের খোঁজ শুরু হয়। গভীর রাতে ঘটকপুকুর খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ধৃতর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের বাবা। তিনি বলেন,আমরা বিয়েতে জিনিসপত্র বিশেষ দিতে পারিনি। তা নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। ওকে অত্যাচার করা হয়েছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে চলে যায়। জামাই ফিরিয়েও আনে। তারপর আবার মেয়ে চলে যায়। আমি বলেছিলাম ওকে ছেড়ে দাও। কিন্তু ছাড়ল না। উলটে মেরে ফেলল।পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।










