কোলফিল্ড টাইমস: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণ কাণ্ডে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। নির্যাতিতার আইনজীবীর দাবি, “ঘটনাটি একেবারেই পূর্বপরিকল্পিত। এই ঘটনার মূলচক্রী নির্যাতিতারই এক সহপাঠী।”
বুধবার ধৃত ছয় জনের মধ্যে চার জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২৪ অক্টোবর টিআই (Test Identification) প্যারেডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দিন নির্যাতিতা ছাত্রী ফুলঝোড় সংশোধনাগারে গিয়ে অভিযুক্তদের সনাক্ত করবেন।
নির্যাতিতার আইনজীবীর বক্তব্য, “যে পাঁচটি ছেলে ধরা পড়েছে, তাদের সঙ্গে সহপাঠী ছাত্রের আগেই পরিচয় ছিল। ওই ছাত্র নিয়মিত স্থানীয় এক গ্রামে নমাজ পড়তে যেত। সেখানেই অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে ওঠে।” তাঁর দাবি, পরিকল্পনা করেই ওই দিন নির্যাতিতাকে কলেজের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজ্য সরকারের নিযুক্ত আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব এই মামলার নিষ্পত্তি করা হবে। দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। টিআই প্যারেডের পর তদন্ত আরও এগোবে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার বয়ান নথিভুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও তদন্তে পরে জানা যায়, এই ঘটনায় মূলত একজনই ধর্ষণে জড়িত ছিল বলে পুলিশের দাবি।










