দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে এক ডাক্তারি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সিটি সেন্টারে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ধর্না মঞ্চ করা হয়েছে। সেই ধর্না মঞ্চ করার বিষয়ে পুলিশের কোনও অনুমতি নেই, তাই পুলিশ বাধা দেয়। সেইজন্য গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে দুর্গাপুর পশ্চিম বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই এবং জেলার বিজেপির সহসভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের অনুমতি করিয়ে আনেন।
এই কথা জানিয়ে চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ যেনতেন প্রকারে আমাদের আন্দোলন বানচাল করতে চাইছে”।
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, “দুর্গাপুরে গণধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উপর মহলের নির্দেশে পুলিশ আসরে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যে পুলিস ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর সহপাঠীকে গ্রেপ্তার করে তার উপরেই সমস্ত দোষ তুলে ধরতে চাইছে। বাকি অভিযুক্তদের বাঁচাতে চাইছে পুলিশ। সেইজন্য ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর মেডিকেল রিপোর্ট ছাত্রীর বাবাকেও দিতে চাইছে না। সেইজন্য ওই ছাত্রীকে ভুবনেশ্বর এমস হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছেন ছাত্রীর বাবা। আমরাও তাই চাইছি”।
এদিকে চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সিবিআই তদন্ত চাইছি। সিবিআই তদন্ত হলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কারা এই ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত”।
তিনি বলেন, “একজনের উপর সম্পূর্ণ দোষ চাপিয়ে পুলিস যতই চালাকি করুক না কেন, নির্যাতিতা ছাত্রী এখনও কোন বয়ান দেয়নি। তাই আমরা জানতে চাই, নির্যাতিতা ছাত্রীর বক্তব্য। তাহলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে”।