চিত্তরঞ্জন : সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উল্লেখ করে চিত্তরঞ্জন শহরের শ্মশানে যাওয়ার রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো এবং নিরাপত্তার দাবি জানাল সিআরএমসি।
তারা বলেছেন, স্টিল ফাউন্ড্রি অফিস থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি অত্যন্ত বিপদসংকুল। এই রাস্তার দুদিকে ঘন জঙ্গল এবং এলাকাটি সম্পূর্ণ শুনশান হওয়ায় শ্মশান যাত্রীরা যেকোনও মুহূর্তে অঘটনের শিকার হতে পারেন। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে এই রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো এবং নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ২৪ অক্টোবর চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা স্টাফ বেনিফিট ফান্ড ম্যানেজমেন্ট কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই বৈঠকে শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ দাবি আকারে উত্থাপিত করছে সিআরএমসি ইউনিয়ন। দুর্গাপুরের ধর্ষণকাণ্ডে শ্মশান, জঙ্গল এবং অন্ধকার এলাকা বার বার সংবাদ-শিরোনামে উঠে আসায় সিআরএমসি’র এই দাবি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, অজয় নদের তীরে অবস্থিত বৈদ্যুতিক চুল্লির এলাকাটি অত্যন্ত অবহেলিত অবস্থায় রয়ে গেছে। সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কোনও নজর দেওয়া হচ্ছে না। চুল্লির কার্যক্ষমতা ঠিকঠাক রাখা হচ্ছে না। তারা দাবি করেছেন চুল্লি এলাকা থেকে নিয়মিত বর্জ্য পদার্থ সরিয়ে নেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত ওই এলাকার জঙ্গল আগাছা কেটে পরিষ্কার করতে হবে। শ্মশান যাত্রীদের জন্য বড় শেড এবং পর্যাপ্ত বসার জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্মশান এলাকায় একটি সর্ব সুবিধাযুক্ত স্টল গড়ে তুলতে হবে। যেখান থেকে দাহকার্যের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যাবে।
এছাড়াও চিত্তরঞ্জন রেল শহরে সাপ এবং মৌমাছির উপদ্রব যথেষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরবাসীকে নিশ্চিন্ততা দেওয়ার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, কয়েকজন রেল কর্মী সাপ ধরায় দক্ষ। কিন্তু কেউই মৌমাছির সমস্যা সমাধানে প্রশিক্ষিত নন আবার তাদের কাছে প্রাসঙ্গিক সরঞ্জামও নেই। সেজন্যই এ বিষয়ে কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়ে তাদের প্রাসঙ্গিক সরঞ্জাম যাতে দেওয়া হয় সেই বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে শহরের এরিয়া কমিটির কার্যালয়গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ সহ ফার্স্ট-এড বক্স রাখা, প্রিন্টারসহ কম্পিউটারের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।
এছাড়াও দীঘা এবং বেনারসে দ্রুত হলিডে হোম তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি চেন্নাইয়েও যাতে হলিডে হোম তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার দাবি জানানো হচ্ছে।
রেল কর্মীর ছেলেমেয়েদের স্কলারশিপের অর্থ ১৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা। রেল কর্মীর মৃত্যু হলে তার দাহকার্যে সহায়তার জন্য পরিবারকে এখন ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই অর্থ বাড়িয়ে পঁচিশ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হয়েছে।
আগামীকাল ২৪ অক্টোবর এই বিষয়গুলিকে যাতে প্রাধান্য দিয়ে স্টাফ বেনিফিট ফান্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয় এবং রেলকর্মী ও তাদের পরিবারের স্বার্থে সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার দাবি জানিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস ইউনিয়ন।










