বার্নপুর ও আসানসোল: বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্নপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বেসরকারি গ্যাস কোম্পানি জিইইসিএলের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক যুবকের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা মৃত যুবকের পরিবারকে ক্ষতি পূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে হিরাপুর থানার পুলিশ এলাকায় আসে। মৃত যুবকের নাম কিষাণ হেমব্রম ( ২৫)। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হিরাপুর থানার বার্নপুরে আসানসোল ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ডাঙ্গা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। পেশায় গাড়ি চালক মৃত যুবক বড়ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বার্নপুরের বড়ডাঙ্গার বাসিন্দা কিষাণ হেমব্রম মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বিশ্বকর্মা পূজোর জন্য মালিকের গাড়ি পরিষ্কার করার পরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বড়ডাঙ্গার রাস্তায় বেসরকারি গ্যাস কোম্পানির একটি চার চাকার গাড়ি তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যায় স্থানীয় মানুষ জড়ো হন। তারা রাস্তায় নেমে মৃত যুবকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং দোষী চালককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
মৃত যুবকের গাড়ির মালিক কৃষ্ণন্দু রায় ওরফে সনু জানান, কিষাণ তার কাছে কাজ করতেন। সে এদিন বেতন পেয়েছে। বিশ্বকর্মা পূজোর জন্য গাড়ি ধোওয়ার পরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এই রাস্তায় একটা চার চাকার গাড়ি তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় কাউন্সিলর অক্ষয় ঘোষ বলেন, জিইইসিএল কর্তৃপক্ষকে এই রাস্তায় সাবধানে যানবাহন চালাতে বলা হয়েছিল। এই রাস্তা খুবই সরু। সোমবার সন্ধ্যায় জিইইসিএলের একটি ট্রেলারের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। মা তার উপর নির্ভরশীল ছিলো। তাই তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
বেশ কয়েক ঘন্টা পরে পুলিশের আশ্বাসে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ওই গ্যাস কোম্পানির তরফে এই ঘটনা নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়ার ব্যাপারে কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।