অভিষেক সেনগুপ্ত, জলপাইগুড়ি: পর্ষদের নয়া নির্দেশিকায় উদ্বেগে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। প্রাথমিকে ‘সারপ্লাস অ্যাডজাস্টমেন্টের’ বিষয় নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ জেলার একাংশ শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এসআই-দের থেকে স্কুলভিত্তিক তথ্য নিতে চলেছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদ চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় ও সচিব তথা ডিআই শ্যামলচন্দ্র রায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সেরে নিলেন তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি দীপঙ্কর বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের জেলার নেতারাও।
জেলার ১৯টি সার্কেলে ১২ শতাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। শিক্ষার স্বার্থে এক সময় সার্কেল ও জেলার মধ্যে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে পাঠান হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশকে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, এ বারে শিক্ষক ঘাটতি থাকা স্কুল গুলিতে অন্য স্কুলের উদ্বৃত্ত শিক্ষকদের পাঠানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে ডিপিএসসি-র অন্দরে। স্কুল ভিত্তিক একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা-সহ একাধিক তথ্য ডিপিএসসিতে পাঠাতে বলা হয়েছে এসআই-দের।

লৈক্ষ্যমোহন রায়, চেয়ারম্যান, ডিপিএসসি
ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায় বলেন, “পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করেছি। স্কুল গুলিকে কী কী তথ্য দিতে, সে বিষয়ে একটি ফর্ম তৈরি হচ্ছে। তথ্য পেলে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। দুরারোগ্য ব্যাধি ও অন্য সনস্যায় থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাও আমরা বিবেচনা করব। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
এদিন তৃণমূল প্রভাবিত প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি দীপঙ্কর বিশ্বাস, প্রাক্তন সভাপতি নির্মল সরকার, স্মরজিৎ চাকি, অরূপ দে, শঙ্খ মিত্র মজুমদার-সহ জেলার নেতারা সংসদ চেয়ারম্যান ও পদাধিকারীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বার্ষিক ক্রীড়া ও সারপ্লাস অ্যাডজাস্টমেন্ট নিয়েও আলোচনা করেন। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগঠনের সদস্যরা এদিন ডিপিএসসিতে হাজির হন।

দীপঙ্কর বিশ্বাস, জেলা সভাপতি, ডব্লিউপিটিপিটিএ
দীপঙ্কর বলেন, “বার্ষিক ক্রীড়া সাময়িক স্থগিত হয়েছে একাধিক কারণে। এ বিষয়ে আলোচনা হল। এর পাশাপাশি, পর্ষদের নির্দেশিকা নিয়েও আমরা সংসদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করলাম।”










