দুর্গাপুর: বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআরের জন্য ভোটারদেট এনুমারেশন ফর্ম বিলির কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই ফর্ম বিলি করা হচ্ছে বাস স্ট্যান্ডের শেডের তলায় বসে। বুধবার এই ছবিটা দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার দুর্গাপুর নগর নিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫২ নম্বর বুথের এমএএমসি টাউনশিপের বিওয়ান শনি মন্দির বাস স্ট্যান্ডের। যাকে ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু দুর্গাপুরে। অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্ত হয়ে যাওয়াতেই নাকি তিনি বাস স্ট্যান্ডে বসে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ফর্ম দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই সাফাই মহিলা বিএলও কর্মী সুষমা ভৌমিকের।
বাসস্ট্যান্ড থেকে কেন এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে সুষমাদেবী বলেন, আমি বাড়ি বাড়ি গিয়েই ফর্ম বিলি করছিলাম। কিন্তু এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে বসে বিশ্রাম করার জন্য। সেই সময় ইনুউমারেশন ফর্মগুলি গুছিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন যে যে বাড়িতে গিয়ে আমি ফর্ম দিয়ে এসেছিলাম , সেই বাড়িতে ফর্ম দেওয়ার সময় যাঁরা ছিলেন না, তারা আমি এখানে বসে আছি খবর পেয়ে বাসস্ট্যান্ড আসেন। তাদেরকেই আমি ফর্ম দিয়েছি।
এই বিএলওর সঙ্গে থাকা বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট দিলীপ রায় বলেন, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েই ফর্ম দেওয়া হচ্ছিল। ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় বিএলও বাসস্ট্যান্ডে বসে ফর্মগুলি গুছিয়ে নিচ্ছেন। আবার তিনি বাড়ি বাড়ি যাবেন।
একইরকম ঘটনার কথা শোনা গেছে আসানসোলেও। সেখানেও এক বিএলও রাস্তার পাশে একটি জায়গায় বসে ফর্ম বিলি করছিলেন বলে অভিযোগ। এর কারণ জানতে চাওয়ায় বলেন , আমার হাঁটুতে সমস্যা আছে। সেই কারণে সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করতে ও উঁচুতে উঠতে সমস্যা হয়। সেই জন্যই রাস্তার পাশে বসে ফর্ম বিলি করছিলাম।
এই দুটি অভিযোগ নিয়ে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ঠিক কি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুপারভাইজারদের দেখতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কাজ চলবে।










