কোলফিল্ড টাইমস: আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে ১৯ নং জাতীয় সড়ক বা ন্যাশনাল হাইওয়েতে রয়েছে মোটর ভ্যাহিক্যালস ( এমভিআই) বা পরিবহন দফতরের অফিস। আর এই পরিবহন দফতরের অফিসের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে প্রায়শই নানা ধরনের অভিযোগ উঠে আসে। কখনও গাড়ি চালকদের মারধোর করা, আবার কখনও তাদের কাছে কাগজ কেড়ে নিয়ে রসিদ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ।
কয়েক মাস আগে এরকম একটা ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। আবারও এমন অভিযোগ উঠে এল এমভিআই দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে । এবার শুধু অভিযোগ নয়, ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান, আসানসোল আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিং। তিনি বলেন, আসানসোলের কুলটি থানার চৌরঙ্গী এলাকায় পরিবহন দফতরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক বাইরের রাজ্য থেকে আসা গাড়ির ওপর অযথা জরিমানা করছেন। গাড়ি ওভারলোড না থাকলেও ওভারলোড বলে হাজার হাজার টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। সেই জরিমানা আবার নগদে দিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, আলাদা করে গাড়ি পিছু ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যার কোনও রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।
আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিং বলেন, দিন কয়েক আগে এমনই এক ট্রাককে মাঝরাস্তায় দাঁড় করায় পরিবহন দফতরের বেশ কয়েকজন অফিসার। সেই চালকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হিসেবে চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে চালক। তাও তার কাছে ২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পাশাপাশি ট্রাকের গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নেওয়া হয় চালকের কাছ থেকে। এরপর পরিবহন দফতরের পার্কিংয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ট্রাকটিকে ।
এরপর ওভারলোডের জরিমানা করায় গাড়ির মালিক জানায়, গাড়িতে অতিরিক্ত কোনও পণ্য নেই। যদি অতিরিক্ত পণ্যের জন্য জরিমানা করা হচ্ছে তাহলে অতিরিক্ত পণ্য সহ গাড়ি ফেরত দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরেও সমাধান সূত্র না বেরোনোয় ট্রাক মালিক আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিংকে গোটা বিষয়টি জানান। বীরেন্দ্র কুমার সিং ঘটনাস্থলে গেলে তাকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। অকথ্য ভাষা ব্যবহার করা হয় বলে আইনজীবীর অভিযোগ।
এরপরে গোটা ঘটনাটি আইনজীবী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পরিবহন দফতর, আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে লিখিত ভাবে জানান। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল আদালতে চার পরিবহন দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই আইনজীবী।
আইনজীবীর দাবি, আদালত যোগ্য ব্যবস্থা নেবে। সেকারণেই আদালতের দারস্থ হয়েছি। তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলার এডিএম (জেনারেল) সুহাসিনী ই বলেন, সরকারকে টাকা দিলে তার রসিদ পাওয়া যাবেই। যদি এই রকম কোনো অভিযোগ আসে, তবে তার তদন্ত করা হবে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবে প্রশাসন।