দুর্গাপুর: আত্মরক্ষার্থে পড়ুয়াদের ব্যাগে অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন বিজেপি বিধায়ক। দুর্গাপুরে ধর্ষণ কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বিজেপির ধর্ণা অবস্থান মঞ্চে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। দেরী না করে, বিজেপি বিধায়ককে আক্রমণ করেছে শাসক দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
শনিবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ধর্ষণ কান্ডের প্রতিবাদে বিজেপির ছ’দিনের ধর্ণা অবস্থান আন্দোলনের শেষ দিনে দলের বিধায়ক চন্দনা বাউরি পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন, আত্মরক্ষার জন্য ব্লেড, ছুরি, ছোট ধারালো অস্ত্র সঙ্গে রাখো ব্যাগের মধ্যে। অন্য কিছু তো রাখতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, আমি তো নিজে দুই মেয়ের মা। তাই এইসব ঘটনার কথা জানতে পারার পরে, সবসময় ভয়ে থাকি। একটা জিনিস এখন এই রাজ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে, পুলিশ প্রশাসন মেয়েদের আর রক্ষা করতে পারবে না। তাদেরকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে হবে। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্য করে বিজেপি মহিলা বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক পড়ুয়াদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বলে অশান্তি ছড়ানোর উস্কানি দিচ্ছেন। এভাবেই শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে ওরা। তবে, তাদের উদ্দেশ্য কোনভাবেই সফল হবে না।
অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের দাবি, চন্দনা বাউড়ি শুধুমাত্র আত্মরক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন এতে ভুল কিছু নেই।
উল্লেখ্য, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়ার উপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে টানা ছদিন ধরে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে ধর্ণা অবস্থান চলছ। শনিবার ছিল সেই আন্দোলনের শেষ দিন। সেই শেষ দিনে বিতর্কের কেন্দ্রে বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির এই বক্তব্য।
এদিন ধর্না অবস্থান মঞ্চে কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ, আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।










