দুর্গাপুর : আজ, শনিবার বিকালে দুর্গাপুরের কার্নিভালের মঞ্চে উপস্থিত বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া এহসান। তাঁর উপস্থিতিতেই দুর্গাপুরে কার্নিভাল। মঞ্চে ছিলেন এডিডিএ চেয়ারম্যান কবি দত্ত, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, সাংসদ কীর্তি আজাদ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
একে একে উদ্যোক্তারা শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন দুর্গাপুর মহিলা কলেজের সামনে গড়ে তোলা মঞ্চের সম্মুখে। ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। কিন্তু সেই উৎসবের আবহেই প্রতিবাদে রাস্তায় নামে বিজেপি।
বিজেপির প্রতিবাদ দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির একাংশ কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, “দুর্গাপুর মানুষের পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হোক শিল্প শহরে। যেখানে দূর্গাপুরবাসী রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দেবী দুর্গাকে দর্শন করে ভক্তিভরে প্রণাম ও শুভ বিজয়া পালন করা হতো এখনকার মতো দশভূজা মঞ্চে বসে থাকা তোলামূল শাসক দলের নেতা, আমলাদের স্যালুট করছে। এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিজেপির মানব বন্ধন”।
বিজেপি নেতা কল্যাণ দুবে বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণকারী ভারত বিরোধী বাংলাদেশী অভিনেত্রী জয়া এহসানকে দুর্গাপুর কার্নিভালে ডেকে পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিমবাংলাদেশ করার চক্রান্ত মানছি না মানব না। শিল্পকে ধংস করে কার্নিভাল কে শিল্পে পরিনত করার চক্রান্ত চলছে”।
এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এক বাংলাদেশী নাগরিককে রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভালের মঞ্চে হাজির করানো অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত। রাজ্যের নিজস্ব শিল্পী-সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করে বাইরে থেকে তারকা এনে গ্ল্যামার দেখানো মানে বাংলার শিল্পীদের অপমান করা।
দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির একাংশ কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, “একজন বিতর্কিত বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রশাসন ইচ্ছে করেই দুর্গাপুরে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ দুবে। হাতে প্ল্যাকার্ড, তাতে স্পষ্ট লেখা ‘বাংলাদেশী অভিনেত্রী জয়া এহসান গো ব্যাক’!