টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার পর ওয়ানডে সিরিজে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটাল টিম ইন্ডিয়া। সমালোচনার পাহাড় চাপা অবস্থায় রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ভরসার নাম হল সেই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার—রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের একমাত্র জয়ের মতোই ফের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন দু’জন। কোহলির সেঞ্চুরি ও রোহিতের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৩৫০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ল ভারত। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লড়াই দিলেও শেষ পর্যন্ত ১৭ রানে হার মানে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচে নজর কাড়লেন সমালোচিত পেসার হর্ষিত রানা।
টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। যশস্বী জয়সওয়াল দ্রুত ফিরলেও রোহিত-কোহলির ১৩৬ রানের জুটি দলকে চাঙা করে। ৫৭ রানে আউট হন রোহিত। অপর প্রান্তে চাপ সামলে ওয়ানডে কেরিয়ারের ৫২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। ১২০ বলে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৭টি ছক্কা। নেতৃত্বে ফিরে ৬০ রান করেন কেএল রাহুল। শেষদিকে দ্রুত রান এনে ভারতকে ৩৫০-এ পৌঁছে দেন জাদেজা ও বাকি ব্যাটাররা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয় দক্ষিণ আফ্রিকার। মারাত্মক সিম মুভমেন্টে রায়ান রিকেলটন ও কুইন্টন ডি’কককে শূন্যে ফেরান হর্ষিত রানা। মার্করামকেও দ্রুত হারিয়ে ১১ রানে ৩ উইকেট খোয়ায় প্রোটিয়া শিবির। এরপর ব্রিটজকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ করেন টোনি ডি’জর্জি ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। তবে আসল লড়াইটা দেন মার্কো জানসেন। ৩৯ বলে ৭০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘোরানোর মতো ছিল। কিন্তু কুলদীপ যাদব তাঁকে আউট করতেই দক্ষিণ আফ্রিকার আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। সেই ওভারেই কুলদীপ ফেরান ব্রিটজকেও। করবিন বশ শেষ পর্যন্ত লড়াই চালালেও বাঁচাতে পারেননি দলকে।
রাহুল অধিনায়ক হিসেবে জয় পেলেও, ম্যাচের নানা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রোহিতকেও পরামর্শ দিতে দেখা যায়। আর যে ওভারে কুলদীপ দুই উইকেট নেন, তার আগের ওভারেই মাত্র চার রান দেন হর্ষিত। সব মিলিয়ে টেস্ট সিরিজের তীব্র সমালোচনার পরিবেশ থেকে ওয়ানডেতে ভারতের কামব্যাক দারুণভাবেই শুরু হল।










