বৃষ্টির মধ্যেই কলকাতার বাবুঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন। ছবি: রাজীব বসু
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে এই মুহূর্তে দক্ষিণ ওড়িশার কাছাকাছি অবস্থান করছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। দক্ষিণ ওড়িশার ফুলবনি এলাকার উপরে এর মূল প্রভাব পড়বে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এই নিম্নচাপের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আগামী দু’দিন উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কলকাতায় বৃষ্টির দাপট এখনই কমছে না। শুক্রবার একাদশীতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সকাল থেকেই শহরে মেঘলা আকাশ, বৃষ্টিতে কমেছে তাপমাত্রা। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ছিল ২৯.৯ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮৮ থেকে ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২৯.১ মিলিমিটার। শনিবার থেকে কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ বলে পূর্বাভাস।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বীরভূমে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে খবর। উপকূল এলাকাতেও ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে আশঙ্কা।
উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগের আশঙ্কা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে কালিম্পং, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলায়। শনিবার থেকে দুর্যোগ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই সব জেলাতেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে আগামী দু’দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বজায় থাকবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী ও পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।