টানা বৃষ্টির ধাক্কায় এখনও জলমগ্ন শহরের নানা প্রান্ত। তবু বুধবার দুপুরে ভবানীপুর ৭০ পল্লি শীতলা মন্দিরের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের দুর্যোগের কারণে কলকাতার সমস্ত উদ্বোধনী কর্মসূচি বাতিল করেছিলেন তিনি।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মমতা। তিনি বলেন, “মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে রাজ্যের তরফে। সিইএসসিকে আমি পরিবারের একজনে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছি, তবে ওরা না দিলে রাজ্যের তরফে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।” তড়িদাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে বলার সময়েই আশেপাশের বেশ কয়েকজন হাততালি দিয়ে ওঠেন। তাঁদের থামিয়ে মমতা বলেন, ‘এটা হাততালি দেওয়ার ব্যাপার নয়, এটা মানবিকতা।’
পুজো মঞ্চ থেকে ফের ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “প্রকৃতিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। গঙ্গায় জোয়ার ছিল। তবে বেশিরভাগ জায়গা থেকেই জল নেমে গিয়েছে, কেবল কিছু লো ল্যান্ডে সমস্যা আছে। ফরাক্কা, মাইথন ২০ বছর ধরে ড্রেজিং করছে না। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশে বৃষ্টি হলেই জল পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ে। সবটাই আমাদের সামলাতে হচ্ছে।”
এই দিনই মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়ে দেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি মানবিক দায় রাজ্য নেবে। বলেন, “মানুষের মৃত্যু অর্থ দিয়ে মাপা যায় না। তবুও মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি সিইএসসি চাকরি না দেয়, তবে আমরা হোমগার্ডের চাকরির ব্যবস্থা করব। এছাড়া প্রতিটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলব সিইএসসি-কে।”