বাড়ি ফিরলেন পার্থ। ছবি: রাজীব বসু
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জামিনের সব শর্ত পূরণ হওয়ায় অবশেষে মুক্তি পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকেই রিলিজ অর্ডার জারি হয়। চিকিৎসকদের সবুজ সংকেত মিলতেই তিনি সোজা নাকতলার বাড়িতে ফেরেন। সাড়ে তিন বছর পর মুক্ত মানুষ হয়ে ফিরলেন তিনি।
২০২২ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তল্লাশিতে বিপুল অর্থ উদ্ধার হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। সেই বছরের জুলাই মাসে প্রথমে অর্পিতা এবং পরে পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। পরবর্তীতে সিবিআই-ও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায়। সেই থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন তিনি।
অসুস্থতার কারণে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও মুক্তি পাননি পার্থ। অবশেষে গত সেপ্টেম্বরে সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন মেলে তাঁর। তবে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিনটি মামলায় চার্জ গঠন ও অন্তত আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দেওয়া যাবে না। সোমবার শেষ সাক্ষীর জেরা সম্পন্ন হওয়ার পরই আদালতে পার্থর মুক্তির আর্জি জানানো হয়। আদালত সম্মতি দিলে রিলিজ অর্ডার পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেল ও হাসপাতালে।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে তিনটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে হুইলচেয়ারে বের হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। চোখে জল, মুখে শুধু বলেন — “কিছু বলব না।” নাকতলার বাড়িতে ফেরার সময় তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অনুরাগী ও সমর্থকরা। অনেকের হাতে ছিল ব্যানার — “বেহালা পশ্চিমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই চাই।”
তিন বছরেরও বেশি সময় পর বাড়ি ফেরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মুক্তি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।










