সোমবার থেকে কোনও বিধায়ক আর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনেই এমনই ঘোষণা করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন— নিয়মটি মন্ত্রীদের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে, তবে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারবেন।
অধ্যক্ষের যুক্তি, দেশের সংসদ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিধানসভাতেও প্রধানমন্ত্রীর বা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যতিক্রম প্রচলিত। ফলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।
এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই বিধানসভার ভিতরে বিরোধী বিধায়কদের নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও আদালত সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনি, বিচারপতি সরকার বিধানসভার অধ্যক্ষ ও সচিবের কাছ থেকে এ বিষয়ে হলফনামা চেয়েছিলেন। সেই আবহেই নয়া নির্দেশিকা ঘোষণা করলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমানে তৃণমূল বিধায়কেরা সাধারণত রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা পান। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধানসভা অধিবেশনের সময় তাঁদের রক্ষীরা বিধানসভার চৌহদ্দির বাইরে থাকেন, বাইরে অস্থায়ী শিবিরে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী অশান্তির সময় থেকেই বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
সব মিলিয়ে, অধ্যক্ষের নতুন নির্দেশে স্পষ্ট হয়ে গেল— এ বার থেকে কোনও বিধায়ক ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এর ফলে বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তা ঘিরে ফের রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক