উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: সামনে বিধানসভার নির্বাচন। আর তার আগে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে চলেছে।এবার বারুইপুরে বাড়িতে ঢুকে বিজেপির বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়।
বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন রাজীব বিশ্বাস। বিজেপি করার অপরাধে তাঁকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব খুন করে বলেই অভিযোগ। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পারিবারিক বিবাদে ওই যুবক খুন হয়েছেন বলেই দাবি শাসক তৃণমূলের।
বিজেপির বারুইপুর পশ্চিম ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, গত ৮ আগস্টের মধ্যরাতে রাজীবকে পিটিয়ে খুন করা হয়। বাড়িতে দেহ রেখে দিয়ে যাওয়া হয়।পরের দিন অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আসা হয়। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যারা করেছে এই ঘটনা তারা অ্যাম্বুল্যান্স ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। দেহ আটকে দেওয়া হয়। তারপর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বিজেপি করার অপরাধে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ অসাধু প্রোমোটিং চক্র বাইশ বছরের রাজীব বিশ্বাসকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। আমরা প্রথমে ই -মেলের মাধ্যমে এফআইআর করি। সোমবার সশরীরে গিয়ে অভিযোগ জানাই। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বারুইপুর থানার আধিকারিকরা আশ্বস্ত করেছেন সাতদিনের মধ্যে মৃতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আসার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অর্চনা মল্লিক। তিনি সোমবার বলেন, মারধরের আওয়াজ পেয়েছি। কিন্তু কী যে হয়েছে তা জানতাম না। ওদের বাড়িতে প্রায়শয়ই অশান্তি-মারধর চলত। মদ্যপান করে অশান্তি হত। ওরা কারও সঙ্গে মিশতেন না। তাই আমরা যাইনি।আর এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।আর এর সাথে তৃনমূল কোন ভাবেই যুক্ত নয়।নিহত বিজেপি নেতার প্রতিবেশীরা বলেন,এটা পারিবারিক বিষয়। মৃত ব্যক্তি কোন ও রাজনৈতিক দল করতেন কিনা, আমাদের জানা নেই।
এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।তবে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।