Home / খবর / রাজ্য / টানা তিন দিন ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্ব, ইন্ডিগো পরিষেবায় ভোগান্তি চরমে

টানা তিন দিন ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্ব, ইন্ডিগো পরিষেবায় ভোগান্তি চরমে

দেশের অন্যতম বড় বেসরকারি বিমান সংস্থা IndiGo-র পরিষেবা গত তিন দিন ধরে বিপর্যস্ত। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বহু উড়ান দেরিতে ছাড়ছে। বুধবারের দিল্লিগামী 6E 2079 ফ্লাইট পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকালে টেকঅফ করতে পেরেছে। এ দিন সকালেই আসা-যাওয়ার মোট ২০টি ফ্লাইট দেরিতে ওঠানামা করেছে।

দুর্গাপুরের কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরেও পরিস্থিতি একই রকম। বুধবার মুম্বইগামী ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, বৃহস্পতিবার বাতিল হয়েছে চেন্নাইয়ের উড়ান। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাকি রুটে উড়ান চললেও দেরি এড়ানো যাচ্ছে না। এখান থেকে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দারাবাদ, ভুবনেশ্বর, বাগডোগরা, গুয়াহাটি ও বেনারস—সব রুটেই IndiGo পরিষেবা রয়েছে। গত দু’দিন ধরেই একাধিক উড়ান বাতিল হয়েছে।

বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৈলাস মণ্ডল জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় কিছু দেরি হলেও পরিষেবা চলছে। তবে IndiGo-র সমস্যা নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি। তাঁর বক্তব্যে শীতকালীন আবহাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।

ফ্লাইট বিভ্রাটে যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে। দুর্গাপুরে এক যাত্রী অসীম নন্দী জানান, চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার তাঁর চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল। সকালেই জানতে পারেন ফ্লাইট বাতিল। বিকল্প যাত্রাবিধি নিয়ে এখন তিনি চিন্তায়।

IndiGo জানিয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়া, প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং বিমানকর্মীদের সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন (FDTL)—সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পাইলট ও কেবিন ক্রুর দৈনিক কাজের সময় ৮ ঘণ্টা, সাপ্তাহিক ৩৫ ঘণ্টা, মাসিক ১২৫ ঘণ্টা ও বার্ষিক সর্বোচ্চ ১,০০০ ঘণ্টা নির্ধারিত হয়েছে। এর ফলে কর্মী সঙ্কট তৈরি হচ্ছে বলেই বিভিন্ন সূত্রের দাবি। তবে প্রশ্ন উঠছে—এক মাস ধরে নিয়ম কার্যকর থাকলেও হঠাৎ ডিসেম্বরেই এত বড় সমস্যার সৃষ্টি হলো কেন? এখনও স্পষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *