রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত শেষ করতে আজ, মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই প্রতিটি দপ্তরের সচিবদের বার্ষিক কাজের অগ্রগতি, ঘাটতি এবং খরচের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট নিয়েই আজ পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
এর আগে সোমবার নবান্নে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক ও বিডিওদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের বৈঠকে হঠাৎই যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের চাপকে গুরুত্ব না দেওয়ার বার্তা দেন তিনি। মমতার কথায়, কমিশনের নির্দেশে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, অফিসাররা নিজের কাজ স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারেন।
প্রশাসনিক অন্দরমহলের খবর, এসআইআর-এর কাজে তদারকির জন্য কমিশনের পর্যবেক্ষকরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কাজের সময়ের বাইরে নির্দেশ পালন করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেই রাজ্যের আধিকারিকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় আর্থিক বঞ্চনা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তার মধ্যেও জনমুখী প্রকল্পের কাজে গতি আনার লক্ষ্যে দপ্তরগুলিকে আরও সক্রিয় করতে চান মমতা। বাজেটে বরাদ্দ প্রকল্পের টাকার কতটা খরচ হয়েছে, কোন কাজগুলি হয়নি এবং কেন হয়নি—এসবই আজ খতিয়ে দেখবেন তিনি। এসআইআর-এর কারণে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে বলে নবান্নে রিপোর্ট এসেছে, সেকথাও নজরে রয়েছে তাঁর।
প্রশাসনিক বৈঠকের পর ৩ ও ৪ ডিসেম্বর মালদহ ও মুর্শিদাবাদে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। গাজোল ও বহরমপুরে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। এসআইআর শেষ হলেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। তাই শেষ মুহূর্তে উন্নয়নের কাজে আরও গতি আনতে চান মমতা। অনলাইনে জাতি-সহ বিভিন্ন শংসাপত্রের আবেদন যাতে সহজ হয়, তার ব্যবস্থাও করতে বলেছেন তিনি। পাশাপাশি, এসআইআর চলাকালীন কোথাও আইনশৃঙ্খলার সমস্যা না হয়, সে বিষয়েও সতর্কতা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।










