কোলফিল্ড টাইমস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠান চলাকালীন পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রীর দেহ। মৃতের নাম অনামিকা মণ্ডল (২১), বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্যাম্পাসে।
সন্ধ্যায় চার নম্বর গেটের কাছে ‘ড্রামা ক্লাব’-এর আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। রাত প্রায় ১০টা ২০ মিনিটে ছাত্র ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন পুকুরে ভাসতে দেখা যায় এক তরুণীকে। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে দীর্ঘক্ষণ সিপিআর দেওয়া হলেও লাভ হয়নি। পরে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনুষ্ঠানের শব্দযন্ত্র ও নাচ-গানের ভিড়ের কারণে মেয়েটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কেউ শুনতে পাননি বলে দাবি অনেকের। কীভাবে তিনি পুকুরে পড়লেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রশ্ন তুলেছে, ‘‘কেন রাত অবধি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হল?’’ সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ও স্থায়ী পুলিশ পোস্টের দাবিও নতুন করে জোরালো করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর আজ আবার অনামিকা। সিসিটিভি ও পুলিশ পোস্টিংয়ের বিরোধীরা এর দায় এড়াতে পারেন না। স্থায়ী উপাচার্যের অভাবে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে।’’
অন্যদিকে, এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তনী সৃজন ভট্টাচার্য তৃণমূলের অবস্থানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। কিন্তু এই মুহূর্তে রাজনৈতিক কচকচানি একমাত্র তৃণমূলই করতে পারে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তো সিসিটিভি ছিল, তবু তিলোত্তমাকে কেন মরতে হল?’’