ছবি: রাজীব বসু
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষের শ্যামবাজারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকেরা তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
পরে অতীন জানান, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় বুধবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য হিসেবে তাঁর ভূমিকা নিয়েই সিবিআই তাঁকে প্রশ্ন করেছে। অতীনের কথায়, সমিতির বৈঠকে বছরে তিন-চার বার যোগ দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও ভূমিকা তাঁর ছিল না। ২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ১২টি বৈঠকের মধ্যে তিনি ৮-১০টিতে যোগ দেন। তিনি বলেন, নাগরিক হিসেবে সহযোগিতা করা তাঁর কর্তব্য, তাই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
অতীন জানান, সিবিআই আধিকারিকেরা বলেছেন এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ষড়যন্ত্র ভেবে তিনি আগে ফোনে কথা বলেননি, শুধুমাত্র নোটিস পাওয়ার পরেই বয়ান দিয়েছেন। সিবিআই হানাকে তিনি রাজনৈতিক চরিত্র আক্রমণ করার প্রচেষ্টা বলে মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, “১৫ বছর ধরে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সামলাচ্ছি, কেউ কোনওদিন আমার দিকে আঙুল তুলতে পারেনি।”
তবে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই সিবিআই-ইডির ‘অপব্যবহার’ বাড়বে। তিনি জানান, সিবিআই অফিসারেরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন, দিল্লি থেকে ফোনে নির্দেশ আসে। ফিরহাদের বক্তব্য, “আমরা ভরসা করি মানুষের উপরে, ওরা ভরসা করে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপরে।”