বিহারে চলছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’। এই যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেস রাজ্যে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। এ বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।
তবে জন সুরাজ দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, এই যাত্রার কোনও প্রভাব পড়বে না। তাঁর বক্তব্য, রাহুল গান্ধীর বিহারে কোনও সম্মান নেই। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর বলেন, কংগ্রেস এখানে শুধু আরজেডির অনুসারী দল হিসেবে কাজ করছে, আর রাহুল গান্ধীকে কেউ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আদৌ কি কেউ রাহুল গান্ধীর যাত্রা দেখছে? তার মতে, রাহুলকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শুধু এই কারণে যে তিনি লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের যেমন বিহারে কোনও সম্মান নেই, তেমনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রাজ্যের আসল সমস্যা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়ে রাহুল গান্ধী মোদীকে আক্রমণ করবেন, আর মোদী রাহুলকে আক্রমণ করবেন। কিন্তু বিহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী, সেটাই কেউ বলছেন না।”
তিনি আরও জানান, বিহারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অভিবাসন, দুর্নীতি আর ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থা। রাহুল গান্ধী এই বিষয়ে কিছু বলছেন না, মোদীও নীরব। তবে জনগণ এবার আর বিভ্রান্ত হবে না, তাদের কাছে নতুন বিকল্প হিসেবে আছে জন সুরাজ।
ভোটার অধিকার যাত্রা শুরু হয়েছে ১৭ অগস্ট শাসারাম থেকে, আর শেষ হবে ১ সেপ্টেম্বর পটনায় একটি মহাসভা দিয়ে। এই যাত্রায় অংশ নেবেন বিরোধী শিবিরের একাধিক শীর্ষ নেতা—তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং আরজেডি নেতৃত্ব। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও যোগ দেবেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্ত রেড্ডি এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সুখু।










