উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আর এক মাসও বাকি নেই। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ভোটের আগে প্রার্থী ঠিক করতে জোরকদমে কাজ শুরু করেছে বিজেপি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভাব্য নামের তালিকায় রয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা, বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান, গুজরাতের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত, কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট, সিকিমের রাজ্যপাল ওম মাথুর এবং জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এছাড়াও আলোচনায় আছেন আরএসএস ঘনিষ্ঠ চিন্তাবিদ সেশাদ্রি চারি এবং রাজ্যসভার উপ-সভারপতি হরিবংশ, যাঁর নাম বিশেষত আসন্ন বিহার ভোটের কারণে গুরুত্ব পাচ্ছে। যদিও বিজেপি স্পষ্ট জানিয়েছে, পরবর্তী উপ-রাষ্ট্রপতি তাঁদের দলেরই হবেন এবং আরএসএস ভাবধারার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকবেন।
গত এক মাসে একাধিক রাজ্যপাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন।
উপ-রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অকালেই সরে দাঁড়ান জগদীপ ধনখড়। ২১ জুলাই স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও সূত্রের দাবি, তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতার সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। অথচ তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালের আগস্টে। অভিযোগ উঠেছে, গত এক বছরে ধনখড় ক্রমশ সরকারের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। বিশেষ করে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার অভিশংসন প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে অস্বীকার করাই ছিল টিপিং পয়েন্ট।
এরপর থেকেই বিজেপি অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে একই পরিস্থিতি ফের তৈরি না হয়। যদিও উপ-রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা সীমিত, তবুও রাজ্যসভার কার্যক্রম পরিচালনায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এনডিএ ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ও মিত্রদের নিয়ে বড়সড় বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে, শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে।
বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলে মঙ্গলবার সংসদীয় দলীয় বৈঠকে এনডিএ সাংসদদের ডাকা হয়েছে। সেখানেই সংসদ ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী মোদী দলের সাংসদদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে।