মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব বুধবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের এক্সিট পোলের ফলাফলকে উড়িয়ে দিলেন। বিভিন্ন সমীক্ষায় এনডিএ-কে পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানো হলেও তেজস্বীর দাবি, এই সমীক্ষাগুলি কর্মকর্তাদের চাপে পরিচালিত এবং “গোদি মিডিয়ার প্রচারণা”র অংশ।
পটনায় সাংবাদিক বৈঠকে তেজস্বী বলেন, “আমরা কোনও সমীক্ষা দেখে আনন্দিত হই না বা বিভ্রান্তও হই না। এই সার্ভেগুলি শুধুই মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করার জন্য। এগুলি কর্মকর্তাদের চাপে করানো হয়… যেই গোদি মিডিয়া পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি দখল করেছিল (অপারেশন সিন্দূরের সময়), সেই একই মিডিয়াই এখন এই সার্ভে দেখাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণভাবে প্রোপাগান্ডা।”
তেজস্বীর অভিযোগ, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই বিজেপি-জেডিইউ জোটের জয়ের এক্সিট পোল প্রকাশ করা হয়েছে, যখন বহু মানুষ তখনও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, “মঙ্গলবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষ ভোট দিয়েছেন, সন্ধ্যা ছ’টা-সাতটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলেছে। তবু ভোট চলাকালীনই এক্সিট পোল প্রকাশ হতে শুরু করে। আমরা কোনও মিথ্যা আশায় বা ভুল বোঝাবুঝিতে বাঁচি না। এই সমীক্ষাগুলি শুধুমাত্র মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব তৈরি করার জন্য এবং ভোট প্রক্রিয়ায় যুক্ত কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করার জন্য প্রকাশ করা হয়।”
তেজস্বী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “বিহারের মানুষ পরিবর্তন চায়। উচ্চ ভোটদানের হারই তার প্রমাণ। মহাজোট (ইন্ডিয়া ব্লক) পরবর্তী সরকার গঠন করবে। আমরা ১৮ নভেম্বর শপথ নেব।”
তিনি এক্সিট পোলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন— “যারা এই সার্ভে করছে, তাদের নমুনা সংখ্যা বা পদ্ধতি কেউ বলতে পারবে না। না নমুনা সংখ্যা, না সমীক্ষার মানদণ্ড— কোনওটাই প্রকাশ করা হয়নি।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় এবং শেষ দফার ভোটে প্রায় ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম দফায়, যা ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ভোট পড়েছিল প্রায় ৬৫.০৯ শতাংশ। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর।










