Home / খবর / দেশ / বিহারের মুখোমন্ত্রী হিসেবে ফের নীতীশ, আজ শপথগ্রহণ

বিহারের মুখোমন্ত্রী হিসেবে ফের নীতীশ, আজ শপথগ্রহণ

এনডিএ-র মুখ হিসাবে আবারও নীতীশ কুমারই। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার বিহার বিধানসভায় তাঁকে জোটের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে। এরপর বিকেলেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান নীতীশ। বৃহস্পতিবার দশমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। সূত্র জানিয়েছে, নীতীশের সঙ্গে প্রায় ২২ জন মন্ত্রীও শপথ নিতে পারেন, তবে কোন দলের কত জন মন্ত্রিত্ব পাবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ভোটের আগে নীতীশের স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। বয়সজনিত কারণে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল জোটের ভিতর-বাইরে। এ বারের নির্বাচনে এনডিএ মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী ঘোষণা করেনি, যদিও বারবার দাবি করেছিল নীতীশের নেতৃত্বেই তারা লড়ছে। প্রচারে ‘সুশাসনবাবু’ ভাবমূর্তিকে সামনে রাখলেও তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রজেক্ট করা হয়নি। ফলে অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল, জোট কি তবে নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছে না? ভোটের ফল ঘোষণার পরও এনডিএ এই প্রশ্নে চুপ ছিল, যদিও জেডিইউ প্রথম থেকেই নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জাহির করেছিল।

২০০৫ সাল থেকে বিহারের প্রশাসনিক চালচিত্রে নীতীশের দাপট অব্যাহত। মাঝের কয়েক মাস বাদ দিলে দুই দশকে তিন জোট বদলে সরকার পরিচালনা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার গান্ধী ময়দানে যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে, তা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের দশম মুখ্যমন্ত্রীত্বের সূচনা।

এদিকে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিজেদের হাতেই রেখেছে বিজেপি। সম্রাট চৌধরি ও বিজয় সিংহ উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তবে অন্য মন্ত্রীদের বণ্টন নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। চিরাগ পাসোয়ান ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁর দল এলজেপি (রামবিলাস) সরকারে থাকবে এবং মন্ত্রিত্ব চাইছে। অন্য ছোট শরিকরাও একই দাবি তুলেছে। ফলে মন্ত্রিসভায় জায়গা নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সূত্রের মতে, সমাধানের পথ হিসেবে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিধায়ক প্রতি এক জন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে।

এ বারের নির্বাচনে এনডিএ মোট ২০২টি আসন পেয়েছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১২২-এর তুলনায় অনেক বেশি। বিজেপি পেয়েছে ৮৯টি আসন, জেডিইউ ৮৫টি। পাঁচ বছর আগের তুলনায় জেডিইউ-র এই উত্থান তাৎপর্যপূর্ণ, যখন ১১৫টি আসনে লড়ে মাত্র ৪৩টি আসন পেয়েছিল তারা।

ভোটের আগে নীতীশ সরকার একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করে। ১২৫ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, বয়স্ক, বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের সামাজিক পেনশন ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ১,১০০ টাকা, এবং ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’—সব মিলিয়ে নিজের ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করেই ভোটে নামেন তিনি। ফলাফল বলছে, সেই কৌশল ফলও দিয়েছে।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *