কোলফিল্ড টাইমস: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হতেই বুথফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট ইঙ্গিত— সামগ্রিকভাবে এনডিএ এগিয়ে মহাগঠবন্ধনের থেকে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতীত অভিজ্ঞতায় বুথফেরত সমীক্ষা অনেক সময়ই ভুল প্রমাণিত হয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে তা মিলেও গিয়েছে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন। বেশিরভাগ সমীক্ষার মতে, এনডিএ-র পাঁচটি দল— জেডিইউ, বিজেপি, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা— মিলে অনায়াসেই সেই সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে, আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধন কিছু আসনে লড়াই করলেও পিছিয়ে রয়েছে সামগ্রিকভাবে। কয়েকটি সমীক্ষায় তাদের আসনসংখ্যা ১০০-র নিচে থাকবে বলে পূর্বাভাস। প্রশান্ত কিশোরের জনসুরাজ পার্টির ফল শোচনীয় হতে পারে বলেও ইঙ্গিত।
প্রথম দফায় ৬ নভেম্বর ১৮টি জেলার ১২১টি আসনে ভোট হয়েছিল ৬৫.০৮ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবার ২০টি জেলার ১২২টি আসনে ভোটের হার ছুঁয়েছে ৬৭ শতাংশ, যা বিহারের নির্বাচনী ইতিহাসে রেকর্ড। সাধারণত এত বেশি ভোটদানের হার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যায়, কিন্তু সমীক্ষা বলছে— বিহারে এবার তা উল্টো হতে পারে।
এনডিএ ও মহাগঠবন্ধনের ভোটের ব্যবধান তিন শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে বলেও ধারণা। গতবারের তুলনায় আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম দলের আসনসংখ্যাও কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
