Home / খবর / দেশ / ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ জম্মু-কাশ্মীরের থানায়, দিল্লিকাণ্ডে উদ্ধার বিস্ফোরকে মৃত ৯

ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ জম্মু-কাশ্মীরের থানায়, দিল্লিকাণ্ডে উদ্ধার বিস্ফোরকে মৃত ৯

দিল্লির বিস্ফোরণকাণ্ডে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক থেকেই ফের বড়সড় দুর্ঘটনা। জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক। শুক্রবার গভীর রাতে সেই বিস্ফোরক পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ৩০ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

শুক্রবার রাতে পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম বিস্ফোরক পরীক্ষার কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরণে পুরো থানাটি কেঁপে ওঠে। কাছাকাছি থাকা বিল্ডিংগুলিও দুলে ওঠে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় থানার ভিতর থেকে তীব্র আগুন ও কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, পুলিশ ও অ্যাম্বুল্যান্স। আহতদের উদ্ধার করে আশেপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মোট ২৮ জন আহতের মধ্যে ২০ জন উজলা হাসপাতালে ও ৮ জন এসএমএইচএস-এ চিকিৎসাধীন। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিস্ফোরকের কিছু নমুনা আগে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হলেও বড় অংশই থানায় রাখা ছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বহু দেহাংশ প্রায় ৩০০ ফুট দূরে ছিটকে গেছে।

ঘটনার পর পুলিশ দু’টি সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছে—
১) অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সিল করার সময় কোনও ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।
২) এটি সন্ত্রাসবাদী হামলাও হতে পারে। বাজেয়াপ্ত একটি গাড়িতে আইইডি যুক্ত ছিল বলেও সন্দেহ।

ইতিমধ্যেই জইশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন প্যাফ (PAFF) বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে। পুলিশ গোটা এলাকা সিল করে তল্লাশি শুরু করেছে। আনা হয়েছে স্নিফার ডগ।

উল্লেখ্য, ফরিদাবাদের যে বাড়ি থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল, সেটি ভাড়া নিয়েছিলেন ডা. মুজাম্মিল শাকিল। আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের কর্মী মুজাম্মিলের সঙ্গে ডা. শাহিন শাহিদ ও ডা. উমর নবির যোগাযোগ ছিল। তাদের সবাইকে জইশের ‘হোয়াইট কলার’ জঙ্গি মডিউলের অংশ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *