কোলফিল্ড টাইমস: জন সুরাজ পার্টির নেতা ও এক সময়ের জনপ্রিয় ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে শোকজ নোটিস পাঠাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ, তাঁর নাম একসঙ্গে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ — দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় রয়েছে।
বিহারের রোহতাস জেলার কারগাহর বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারের জারি করা নোটিসে বলা হয়েছে, প্রশান্ত কিশোরের নাম কারগাহরের ভোটার তালিকার ৩৬৭ নম্বর অংশে (মিডল স্কুল, কোনার, উত্তর শাখা) ভোটকেন্দ্র ৬২১–এ অন্তর্ভুক্ত, তাঁর ভোটার আইডি নম্বর ১০১৩১২৩৭১৮। একই সঙ্গে অভিযোগ, তাঁর নাম না কি পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকাতেও রয়েছে — সেখানে তাঁর ভোটকেন্দ্র সেন্ট হেলেন স্কুল, বি রানিশঙ্করী লেন। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্বাচনী কৌশলবিদ থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা প্রশান্ত কিশোরের একটি ভোটার কার্ডে ঠিকানা রয়েছে ১২১ কালীঘাট রোড।
১৯৫০ সালের ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অ্যাক্ট’-এর ১৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, একজন ব্যক্তি একাধিক নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারেন না। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে ৩১ নম্বর ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের নোটিসে প্রশান্ত কিশোরকে তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে, কীভাবে তাঁর নাম দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল।
এই ঘটনাটি ঘটল এমন সময়, যখন কমিশন সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকার ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) সম্পন্ন করেছে, যেখানে দ্বৈত ও অযোগ্য নাম মুছে ফেলার কাজ চলছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, রাজ্যে এখন ৭ কোটি ৪০ লক্ষাধিক ভোটার রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ১৪ লক্ষ প্রথমবারের ভোটার।
উল্লেখ্য, একসময় তৃণমূল কংগ্রেস-সহ একাধিক বড় রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী কৌশলবিদ হিসেবে কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। বর্তমানে তিনি নিজস্ব জন সুরাজ পার্টি–র নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং গত এক বছরে বিহারজুড়ে পদযাত্রা ও জনসংযোগ কর্মসূচি চালাচ্ছেন।
বিহারে ভোট হবে দুই দফায় — ৬ ও ১১ নভেম্বর, আর ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর। নির্বাচনী উত্তেজনার মাঝেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে এই নোটিস জারি করা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। এখনো পর্যন্ত তিনি এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।










