নাগরিকত্ব প্রমাণে আধার কার্ডকে একমাত্র নথি হিসেবে গণ্য করার দাবি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, আইন অনুসারে আধারের যে মর্যাদা নির্ধারিত হয়েছে, তা বাড়ানো সম্ভব নয়।
বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আধার একটি পরিচয়পত্র হতে পারে, তবে নাগরিকত্বের একমাত্র প্রমাণ নয়। আদালত প্রশ্ন তোলে, “আধারে এত জোর দেওয়া হচ্ছে কেন? নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে আধারকে কখনওই স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না।”
বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ নাম বাদ পড়া নিয়ে এই মামলা চলছে। বিরোধী দলগুলির পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ যুক্তি দেন, আধারকে একমাত্র প্রমাণ হিসাবে গণ্য করা উচিত। তবে আদালত মনে করিয়ে দেয়, আধার আইনের ৯ নম্বর ধারা এবং ২০১৮ সালের পুত্তস্বামী মামলার রায় অনুযায়ী আধার নাগরিকত্ব বা বাসস্থানের প্রমাণ নয়।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, বিহারের কিছু জেলায় আধারের সম্পৃক্তি ১৪০ শতাংশে পৌঁছেছে, ফলে নাম বাদ বা ভুয়ো নাম যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগেও অভিযোগ উঠেছিল, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা অবৈধভাবে আধার কার্ড সংগ্রহ করেছে।
ভোটার তালিকা থেকে যাঁদের নাম ভুলভাবে বাদ পড়েছে, তাঁদের সাহায্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।