অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: যাঁরা আমিষ খান, তাঁদেক জন্য ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। ডিমের ভিতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এজন্য একে ‘সুপার ফুড’ও বলা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, প্লাস্টিকের ডিম তৈরি করে আসল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
চিকিৎসকরা নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। একজন সুস্থ মানুষ দিনে অন্তত ২ থেকে ৩টি ডিম খেতে পারেন। বিশেষ করে যাঁরা শারীরিক অনুশীলন করেন, তাঁরা প্রোটিনের জন্য ডিম খেতে পছন্দ করেন। তবে, কৃত্রিম ডিম খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এতে প্রচুর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু বাজারে এখন সবকিছুতেই কারচুপির চেষ্টা চলছে। একই ভাবে ডিমেও ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে বলে প্রায়শই শোনা যায়। বাজারে নকল ডিমও পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে বিক্রি হওয়া কৃত্রিম ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। কী ভাবে আপনি এই কৃত্রিম এবং আসল ডিম আলাদা করবেন?

প্লাস্টিকের ডিম চেনার উপায়
১) আগুনের কাছে ডিম রাখতে পারেন। এমন অবস্থায় যদি প্রান্ত থেকে বাজে গন্ধ আসতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে ডিমটি কৃত্রিম।
২) ডিম কেনার সময় সাবধানে নেড়ে নিন। ডিমের ভিতর থেকে যদি কিছু শব্দ আসে তাহলে বুঝবেন ডিমটি নকল। যদি আওয়াজ না আসে তাহলে বুঝতে হবে আসল।
৩) ডিম যদি খুব চকচকে হয়, তাহলে সেটা নকল হলেও হতে পারে। তাই কম চকচকে ডিম কিনুন।
৪) ওমলেট করতে গিয়ে পার্থক্যটা ধরা যেতে পারে। ডিম ফেটিয়ে কড়াইতে দেওয়ার পরই দেখেন শক্ত হয়ে গেছে। পোড়া প্লাস্টিকের গন্ধ বের হতে থাকে।
৫) নকল ডিমের খোলাটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পুরু হতে পারে। কৃত্রিম ডিমের খোলা বেশি শক্ত।
৬. আসল ডিম ভাঁঙার সময় মুড়মুড় করে আওয়াজ হয়, প্লাস্টিকের ডিমের ক্ষেত্রে সেটা হয় না।
৭. নকল ডিম ভাঙার পর ভিতরের সাদা ও কুসুম অংশ এক হয়ে যায়।




Be First to Comment