কোলফিল্ড টাইমস: মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইনদওরের রাজা রঘুবংশীর মৃত্যু রহস্যভেদ করল পুলিশ। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, রাজাকে খুনের ষড়যন্ত্রে তাঁর স্ত্রী সোনমকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনম ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে স্বামীকে খুন করিয়েছিলেন। শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ধাবাতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় সোনমকে। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গাজিপুর মেডিকেল কলেজে। সেখানেই তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
মেঘালয়ের ডিজিপি ইদাশিশা নংরাং জানিয়েছেন, রাজা হত্যা মামলায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে— একজন উত্তরপ্রদেশ থেকে ও দু’জন ইন্দোর থেকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সোনমই তাঁদের কাজে লাগিয়েছিলেন রাজাকে খুন করার জন্য।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রাজার স্ত্রী সোনমের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে সরানোর ছক কষেছিলেন তিনি।
পুলিশের দাবি, সোনম তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে মিলে এই হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এরপরই ভাড়াটে খুনিদের নিযুক্ত করে স্বামীকে খুন করান।
২৩ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন রাজা ও সোনম। ১ জুন চেরাপুঞ্জির ওয়েই সাওডং ফলসের কাছে একটি গভীর গিরিখাতে রাজার অর্ধগলিত দেহ উদ্ধার হয়। পাশেই একটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার হয়, যা খুনে ব্যবহৃত হতে পারে বলে অনুমান।
একজন স্থানীয় গাইড জানান, ২৩ মে সকাল ১০টা নাগাদ তিনি ওই দম্পতিকে তিনজন অচেনা যুবকের সঙ্গে নংরিয়াট থেকে মাওলাখিয়াতের দিকে ৩,০০০ ধাপের সিঁড়ি ভেঙে উঠতে দেখেছিলেন। তিনি আগের দিন ওই দম্পতিকে গাইডিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা বিনীতভাবে অস্বীকার করেছিলেন।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এক্স (আগের টুইটার)-এ লিখেছেন, “৭ দিনের মধ্যে রাজা হত্যা মামলায় বড় সাফল্য। তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার, স্ত্রী আত্মসমর্পণ করেছে, আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। মেঘালয় পুলিশের জন্য গর্বের মুহূর্ত।”



Be First to Comment