Press "Enter" to skip to content

নির্বাচনী বন্ডে সবচেয়ে বেশি অনুদান, কে এই ‘লটারি কিং’ সান্তিয়াগো মার্টিন?

নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই নির্বাচনী অনুদান সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর যথারীতি ভাবেই উত্তপ্ত রাজনীতি। এই পরিসংখ্যানে এমন অনেক কিছু তথ্য়ই রয়েছে, যা দেখে চমকে যাবে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল নির্বাচনী অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা নামটি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিল করা খামে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা করে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (SBI)। সেই তথ্যই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। জানা যাচ্ছে, ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেলস নামে একটি সংস্থা সর্বাধিক সংখ্যক নির্বাচনী বন্ড কিনেছে। অর্থাৎ ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিটি সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই কোম্পানিটি মূলত লটারি ব্যবসা করে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ১৩৬৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। এই সংস্থার মালিক সান্তিয়াগো মার্টিন। দক্ষিণ ভারতের এই ব্যবসায়ীকে ‘লটারিং কিং’ নামে ডাকা হয়।

এই সংস্থাটি বর্তমানে দেশের এক ডজনেরও বেশি রাজ্যে কাজ করছে, যেখানে লটারি আইনত বৈধ। ফিউচার গেমিংয়ের ব্যবসা মূলত দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ ভারতে, কোম্পানিটি মার্টিন কর্নাটক নামে একটি সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে কাজ করে। উত্তর-পূর্ব ভারতে এটি মার্টিন সিকিম লটারি নামে একটি সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে কাজ করে।

এখন, অবশ্য সান্তিয়াগো মার্টিনের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য বিশাল আকার ধারণ করেছে। লটারি ছাড়াও রিয়েল এস্টেট থেকে শিক্ষার মতো খাতেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, কোয়েম্বাত্তুর-ভিত্তিক মার্টিন হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, টেলিভিশন মিউজিক চ্যানেল এসএস মিউজিক, এম অ্যান্ড সি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট, মার্টিন নন্দাবনম অ্যাপার্টমেন্ট, লিমা রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড, ইত্যাদি ব্যবসা রয়েছে মার্টিনের।

ফিউচার গেমিংয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রতিষ্ঠাতা মার্টিন মাত্র ১৩ বছর বয়সে লটারির কাজ শুরু করেছিলেন। অল্প বয়সে কাজ শুরু করে তিনি সারাদেশে লটারি বিক্রেতা ও ক্রেতাদের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তিনি একসময় মায়ানমারে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। পরে লটারি ব্যবসায় নাম লেখান।

More from দেশMore posts in দেশ »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *