কোলফিল্ড টাইমস: অহমদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ তাঁর মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। হাসপাতালে শুয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৪০ বছরের এই ব্রিটিশ নাগরিক বলেন, “বিমানটা ওড়ার পরও উঁচুতে উঠতে পারছিল না। হঠাৎই একটা বিল্ডিংয়ে ধাক্কা মেরে বিস্ফোরণ ঘটে। সবকিছু ঘটেছিল সেকেন্ডের মধ্যে। বুঝতে পারলাম আমরা ভেঙে পড়ছি।”
বিমানের জানালার পাশে ১১এ সিটে বসেছিলেন রমেশ। দুর্ঘটনার পর পাশেই ব্যাপক ক্ষতি দেখতে পান। তিনি বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম আমি মরে গিয়েছি। পরে বুঝলাম, আমি বেঁচে আছি। ফিউজলাজের একটা ফাঁক দিয়ে নিজের পা দিয়ে ঠেলে বেরিয়ে আসি। আশেপাশে সবাই মৃত অথবা মৃতপ্রায়। আজও বুঝতে পারছি না কীভাবে বেঁচে গেলাম।”
দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে রক্তাক্ত রমেশকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। গুজরাটিতে চিৎকার করতে করতে বলছিলেন, “প্লেন ফাট্যু চে!” (বিমানে বিস্ফোরণ ঘটেছে)। পরে তাঁর ভাই জানান, রমেশ প্লেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, তারপর জ্ঞান হারান।

৩৩ সেকেন্ডের মধ্যেই আহমদাবাদ থেকে লন্ডনগামী AI 171 বিমানটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ভেঙে পড়ে, আগুন ধরে যায়। সেখানেও অন্তত পাঁচ ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। এ দিকে, এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, ২৪১ জন যাত্রী ও বিমান কর্মীর মৃত্যু হয়। রমেশের ভাইও এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
পরদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অহমদাবাদ সিভিল হাসপাতালে রমেশের সঙ্গে দেখা করেন। টুইটারে লেখেন, “এই ধ্বংসস্তূপের ছবি হৃদয়বিদারক। যারা আপনজন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা রইল।”
এই দুর্ঘটনার মাঝেও রমেশের বেঁচে যাওয়ার ঘটনা যেন এক টুকরো আশার আলো। তদন্ত চলছে, উদ্ধারকাজও চলছে। তাঁর জীবনের গল্প মানবিক শক্তির এক দুর্লভ উদাহরণ হয়ে রইল।



Be First to Comment