Press "Enter" to skip to content

দিল্লির ক্ষমতার চাবি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পকেটে! কেন চলছে এই চর্চা?

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ছবি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে, তাই নতুন সরকারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা হল মঙ্গলবার। ফলাফল স্পষ্ট হতে শুরু করতেই নীতীশ এবং চন্দ্রবাবু, দুজনকেই টার্গেট করছে বিরোধী দলগুলো। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্ব নীতীশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা শুরু করেছেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র অংশীদার উদ্ধব ঠাকরেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মহারাষ্ট্রে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরে, উদ্ধব বলেন, “কংগ্রেস নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে আলোচনা করছে।” যদিও শরদ পাওয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

লোকসভার ফলাফলকে সামনে রেখে আগামীকাল, বুধবার (৫ জুন) বিরোধী জোটের নেতারা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন এবং তাতে সরকার গঠনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমরা আগামীকাল শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করব। অখিলেশ যাদব দিল্লিতে আসছেন, তিনি জাতীয় রাজধানীতেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।” ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে নীতীশ কুমারকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে বিরোধী দলগুলির এই প্রচেষ্টার মধ্যে জেডিইউ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে নীতীশ কুমার এনডিএ-র সঙ্গে রয়েছেন। দলের তরফে কেসি ত্যাগী বলেছেন, “নীতীশ কুমার সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ফিরেছেন, আমরা এনডিএ-তে থাকব।”

আসলে নীতীশ কুমারই লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগে বিরোধী জোটের নেতাদের এক প্ল্যাটফর্মে আনতে সেতু হিসেবে কাজ করেছিলেন। ইন্ডিয়া-র প্রথম বৈঠকও তাঁর নেতৃত্বে পটনায় হয়। যাইহোক, পরে বিরোধী জোটের সঙ্গে নীতীশ কুমারের সম্পর্কের অবনতি হয় এবং বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এনডিএ-তে যোগ দেন। এই ঘটনায় বিহারে মহাজোট সরকারেরও পতন হয়।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে নীতীশ কুমার মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পক্ষ পরিবর্তন করবেন না এবং এনডিএ-তেই থাকবেন। রাত ১০টা পর্যন্ত প্রবণতা অনুসারে, জেডিইউ বিহারে ১১টি আসন জিতেছে এবং একটিতে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে বিজেপি ১০টি জিতেছে এবং দুটিতে এগিয়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নীতীশ কুমারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এ দিন বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতা করার সময় বিহারে নীতীশ কুমারের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই পরিস্থিতিতে, এটা স্পষ্ট যে নীতীশ কুমারের ভূমিকা আগামী সময়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিশেষ করে যখন, বিজেপির একার পক্ষে কেন্দ্রে সরকার গঠন প্রায় অনিশ্চিত।

More from দেশMore posts in দেশ »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *