অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট স্নাতক অর্থাৎ নিট (NEET UG)-এ টপারের সংখ্যা ৬৭ থেকে কমে ৬১ হবে। পরীক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে দেওয়া গ্রেস মার্ক প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে কারণে এই পরিবর্তন ঘটবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যে ছয় জন পরীক্ষার্থী টপার তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছেন, তাঁরা সকলেই হরিয়ানার একটি কেন্দ্র থেকেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁরা বর্তমানে টপার ৬১ জনের সঙ্গে শীর্ষ স্থানে ছিলেন। তবে, একটি কেন্দ্রের ছয় পরীক্ষার্থী কী ভাবে পরীক্ষার মোট নম্বর পেয়ে গেলেন, তা নিয়েই সন্দেহ এবং অভিযোগ জোরালো হয়েছিল।
নিট পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়ম নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে বিতর্ক অব্যাহত। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে এমবিবিএস, বিডিএস এবং এই জাতীয় অন্যান্য কোর্সের জন্য পরীক্ষা দেওয়া ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে দেওয়া গ্রেস মার্ক প্রত্যাহার করা হবে। এমতাবস্থায়, এই প্রার্থীদের কাছে দুটি বিকল্প থাকবে। প্রথমত, তাঁরা আবার পরীক্ষা দিতে পারেন এবং দ্বিতীয়ত, তাঁরা প্রাপ্ত গ্রেস মার্কস ফেরত দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।

এনটিএ-র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে এই ১৫৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন প্রার্থী প্রথম স্থান অর্জন করেছেন (আরও ৬১ জনের সঙ্গেই)। গ্রেস মার্ক প্রত্যাহারের পরে, শীর্ষস্থানীয়দের সংখ্যা ৬৭ থেকে ৬১-তে নেমে আসবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, এই ছয়জন পরীক্ষার্থী আবার পরীক্ষা দিয়ে পূর্ণমান ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর না পেলে আর শীর্ষস্থান ফিরে পাবেন না।
ওই এনটিএ আধিকারিককে কাউন্সেলিংয়ের তারিখ পরিবর্তন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে এতে কোনও পরিবর্তন হবে না। ৬ জুলাই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট নিজের আদেশে স্পষ্ট করেছে যে মেডিক্যাল কলেজ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সফল প্রার্থীদের ভর্তি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে করা হবে। পরীক্ষা বাতিল সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করে স্বস্তি দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, যাঁদের বাড়তি নম্বর বাতিল করা হবে, তাঁরা আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন আগামী ২৩ জুন। শুধুমাত্র তাঁদের জন্যই পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৩০ জুন।



Be First to Comment